অস্ত্রেলিয়ায় মৃত প্রায় শতাধিক তিমি


অস্ত্রেলিয়ায় মৃত প্রায় শতাধিক তিমি


অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া উপকূলের বালুর চরে আটকা পড়েছিল ২৭০টি তিমি। এর এক তৃতীয়াংশই এর মধ্যে মারা গেছে। এছাড়া আটকে পড়া বাকি তিমিদের মধ্যেও আরও তিমি মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।

সোমবার তিমির ওই বিশাল দলটিকে উপকূলে আবিষ্কার করেন স্থানীয়রা। বিশালসংখ্যক এই তিমির দলটিকে উদ্ধারের আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন সমুদ্র বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ কর্মীরা।

কিভাবে ওই তিমিগুলো উপকূলে এসে আটকা পড়ল সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তিমিদের উপকূলে আসার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিন্তু একসঙ্গে এতো তিমি সচারাচর দেখা যায় না।

তাসমানিয়ার মেরিটাইম কনজারভেশন প্রোগ্রামের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই তিমিগুলো তিনটি দলে বিভক্ত ছিল। উদ্ধারকারীরা সোমবার রাতে সেখানে উপস্থিত হয়ে তিমিগুলোকে দেখতে পায়।

অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড উপকূলে প্রায়ই এভাবে দল বেঁধে তিমিদের আসতে দেখা যায়। গবেষকরা বলছেন, এরা দলে দলে চলাফেরা করে এবং এদের একজন দলনেতা থাকে।

তাদের মধ্যেই সামাজিক বন্ধন খুব দৃঢ় এবং তারা দলনেতার দেখানো পথেই চলে। এর আগে ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ড উপকূলে দুই শতাধিক পাইলট তিমির মৃত্যু হয়েছিল।

তাসমানিয়া দ্বীপে দেখতে পাওয়া সামুদ্রিক ডলফিন প্রজাতির এই পাইলট তিমি সাধারণত লম্বায় সাত মিটার বা ২৩ ফুট হয় এবং এদের ওজন হয় প্রায় তিন টন।