আইএমএফের এ রিপোর্টে বিএনপি কি বলবে : তথ্যমন্ত্রী


আইএমএফের এ রিপোর্টে বিএনপি কি বলবে : তথ্যমন্ত্রী


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বময় যখন অর্থনৈতিক মন্দা এবং প্রবৃদ্ধি নিচের দিকে যাচ্ছে, সেখানে বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে আমাদের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে, এটি আইএমএফের রিপোর্ট। এই রিপোর্টের পর মির্জা ফখরুল সাহেব কিম্বা বিএনপি নেতারা কি বলেন, এখন আমি অপেক্ষায় রয়েছি।

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকরা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লিখিত ‘চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি আগের ৩.৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে আরো কমে ২.৯ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নামবে না এবং ২০২৮ সালে ৭ শতাংশ হবে’ এ নিয়ে মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চায়।

আরও পড়ুনঃদেশকে বাঁচাতে আরেকবার নৌকায় ভোট দিন: প্রধানমন্ত্রী

জবাবে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী চলমান মন্দার মধ্যেও আমাদের প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভালো। নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে অনেক কথা হয়, কিন্তু আসলে পৃথিবীর সব দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অবশ্যই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সরকার চেষ্টা করছে নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে, ৫০ লাখ মানুষকে কম টাকায় চাল বিতরণ করে, আরো ১ কোটি মানুষকে নানা ধরনের খাদ্যশস্য বিতরণের মাধ্যমে কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছে। যে কারণে বাংলাদেশে হাহাকার নেই।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের ঘাটতি ঘটে নাই। ইউরোপ-আমেরিকায় নিত্যপণ্যের ঘাটতি ঘটেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সুপারমলে অনেকদিন যাবৎ ১ লিটারের বেশি তেল এবং ৬টার বেশি ডিম কিনতে দেওয়া হয়নি। করোনার সময় সেখানকার সুপার-মলগুলোতে টিস্যু পেপার বক্স শেষ হয়ে গিয়েছিলো। মানুষকে লাইন ধরতে হয়েছিলো। সেখানে অনেক পণ্য রেশনিং করে বিক্রি করা হয়েছে আমাদের দেশে সেই পরিস্থিতি হয়নি। করোনার মধ্যে পৃথিবীর মাত্র ২০টি দেশে পজেটিভ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিলো তার মধ্যে আমাদের অবস্থান ছিলো তৃতীয়। আমাদের ওপরে ছিলো গায়ানা এবং সাউথ সুদান, যাদের তুলনায় আমাদের অর্থনীতি অনেক বড়। সুতরাং জনবহুল দেশ হিসেবে আমরা এক নম্বরই ছিলাম বলা যেতে পারে।’