পূর্বের তুলনায় এখনকার ছেলেমেয়েরা একেবারেই আলাদাভাবে বড় হয়। বেশির ভাগ মানুষই তাদের শিশুকে আদর করার কোনো সুযোগ ছাড়েন না। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করে সামনের সময়টা কষ্টে ভরে ওঠে।
যখন জিনিসগুলি তাদের ইচ্ছামতো না যায়, তখন বাচ্চাদের আচরণ আক্রমণাত্মক হতে শুরু করে, যার পরে অভিভাবকদের রাগ দেখানো ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। শিশুদের আক্রমণাত্মক আচরণ পরিচালনা করতে, আপনাকে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, কারণ কখনও কখনও অজান্তে আমরা নিজেরাই শিশুদের আচরণের জন্য দায়ী। যদি আপনার সন্তানের রাগ খুব বেশি হয়, তাহলে এই টিপসের সাহায্য নিতে পারেন।
অনেক সময় শিশু কোনো কারণ ছাড়াই রেগে গিয়ে আপনাকে মারতে শুরু করে। বাচ্চাকে পিছনে আঘাত করার পরিবর্তে, তার চোখের দিকে তাকিয়ে আপনার আবেগগুলি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। শিশুকে বোঝানোও খুব জরুরি যে তার আচরণ খুবই ভুল। এমতাবস্থায়, তাকে উপেক্ষা করবেন না বা তার কাজকে উত্সাহিত করবেন না।
আরও পড়ুনঃ বিদেশিদের দুয়ারে দৌড়াদৌড়ি করে লাভ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কখনও কখনও এটা সম্ভব যে শিশুরা তাদের মনের কিছুতে আপনাকে সম্মত করতে চায়। এমন পরিস্থিতিতে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি তাদের কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনবেন এবং তাদের রাগের কারণ বুঝতে পারবেন। এমনকি আপনি যখন শিশুর প্রতি মনোযোগ না দেন, তখন তার আচরণ আক্রমণাত্মক হতে থাকে। যদি তাই হয়, তাহলে শিশুর আবেগ বুঝুন।
আক্রমনাত্মক শিশুরা রাগের মাথায় যেকোনো কিছুর ভুল উত্তর দিতে শুরু করে। তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে একটি মৃদু উপায় শেখানো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা সম্ভব যে আপনার সন্তান বহিরাগতদের সামনেও খারাপ ব্যবহার শুরু করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সবার সামনে তাকে আঘাত বা মারধর না করে তাকে ভালোবেসে বুঝিয়ে বলুন।
শিশুদের সাথে সীমানা নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কথা না শোনার অভ্যাস করা উচিত। তারা যতই রাগ করুক না কেন। তাদের মনে বিশ্বাস থাকতে হবে যে যাই ঘটুক না কেন আমার কথা অমান্য করা হবে না। এই অবস্থায় পিতা-মাতা উভয়কেই সমান হতে হবে।