আফ্রিকার দুর্ভিক্ষ; পোকা-মাকড় চাষের পরামর্শ ব্রিটিশ সংস্থার


আফ্রিকার দুর্ভিক্ষ; পোকা-মাকড় চাষের পরামর্শ ব্রিটিশ সংস্থার


সম্প্রতি কঙ্গো ও জিম্বাবুয়ের দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষকে পোকা-মাকড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটিশ সংস্থা। খবর ফাঁস হতেই শুরু হয়েছে হইচই।

ব্রিটেন থেকে সাহায্য পাঠানো হয় বিভিন্ন কমনওয়েলথভুক্ত দেশে। যে সংস্থাগুলির মাধ্যমে এই কাজ হয়, তারই একটি ‘ক্যাথলিক এজেন্সি ফর ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট’।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কীটপতঙ্গ চাষ করতে জল কম লাগে। তাই প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে একটি সহজলভ্য উৎস হতে পারে সেগুলো।

যদিও সংস্থাটি বলছে, তারা মোটেই মানুষকে কীটপতঙ্গ খেতে উৎসাহ দিচ্ছে না। এটি একেবারেই স্থানীয় একটি প্রকল্প। মাছের খাবার হিসাবে কীটপতঙ্গের চাষ করা হয়, যাতে তাতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। তা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে সংগঠন।

এদিকে ব্রিটেনের ‘ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’-এর তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়েছে প্রকল্পটি। প্রকল্পের লক্ষ্য, ‘কী ভাবে মানুষের খাবার হিসাবে ও পশুখাদ্য প্রস্তুত করার জন্য কীটপতঙ্গ ব্যবহার করা যায়’।

বলা হয়েছে, ‘ক্যাথলিক এজেন্সি ফর ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট’ নামের একটি সংস্থার নেতৃত্বে চলবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ।

আফ্রিকার শুঁয়োপোকা, পঙ্গপাল ও সোলজার মাছি খাওয়ার বহু উপকার আছে, কাগজ-কলমে দাবি করা হয়েছে এমনই। আর তাই কঙ্গোয় এমনই সব পোকা-মাকড় চাষ করার জন্য শুরু হতে চলেছে একটি প্রকল্প। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৪৬ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, আফ্রিকায় প্রায় ২৫০ ধরনের পোকা-মাকড় খাওয়ার রেওয়াজ আছে। কঙ্গোর কিভু নামের একটি জায়গায় প্রকল্পটি চালু হওয়ার কথা। সেখানে ২৩ রকম পোকা খাওয়ার চল আছে।

তবে চরম খাদ্যাভাব ও অর্থকষ্টও এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসের বড় কারণ। বর্তমানে আফ্রিকার ওই অঞ্চলে দু’কোটিরও বেশি মানুষ অনাহারে থাকেন।