কখনও টিপ টিপ বৃষ্টি, আবার কখনও বা অবিরল ধারায় বর্ষণ। শ্রাবণের ভারী আকাশ থেকে বৃষ্টির রিমিঝিমি চলছেই । এই একটু থামে, আবার ঝেঁপে নামে। গত দুদিনের আবহাওয়ার চিত্র এরকমই। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টির এমন ধারা আরও তিনদিন থাকতে পারে।
কারণ সম্পর্কে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে প্রবল সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এ কারণেই দেশের সব জায়গাতেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
সকালে আবহাওয়া দপ্তরের ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা খুব একটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া দপ্তরের সকালের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল ছয়টা থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১১০ মিলিমিটার।
৬ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজার জেলায়, ৫১ মিলিমিটার। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৩৩, ময়মনসিংহে ৩৭, কুমিল্লায় ৩১, নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, দুই বা তার বেশি দিন বৃষ্টি হতে পারে। এরপর কয়েকদিন বৃষ্টির মাত্রা কমবে।
মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এবং এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলকে তিন নম্বর সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
একই কারণে রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর গুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।