করোনাভাইরাস সংক্রমণে প্লাস্টিক বর্জ্যও বেশ বড় ভূমিকা রাখছে


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24, prosenjit bangla movie, jeeter bangla movie, songsar bangla movie, bengali full movie, bengali movies 2019, messi vs ronaldo, lionel messi stats, messi goals, messi net worth, messi height


দেশে করোনা ভাইরাস উপসর্গ ধরা পড়ার পর এক মাসে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভসসহ সংশ্লিষ্ট প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ টন। এমন এক তথ্য দিয়েছে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো)।

সম্প্রতি করোনার সময়ের প্লাস্টিক বর্জ্য পরিস্থিতি নিয়ে করা এসডো’র এক গবেষণায় বলা হয় শুধু ঢাকায় উৎপাদন হয়েছে ৩ হাজার ৭৬ টন বর্জ্য । যার বড় একটি অংশ যত্রতত্র ফেলার কারণে মাটি ও পানিতে মিশছে। এতে মাটি ও পানিতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা এবং ভয়াবহভাবে গণসংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

গবেষণা থেকে সংগঠনটি জানায়, গত ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এক মাসে সারাদেশে পলিথিন ব্যাগের বর্জ্য ৫ হাজার ৭৯৬ টন, পলিথিন হ্যান্ড গ্লাভস ৩ হাজার ৩৯ টন, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস ২ হাজার ৮৩৮ টন, সার্জিক্যাল মাস্ক ১ হাজার ৫৯২ টন ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল থেকে ৯০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে।

শুধু ঢাকাতেই সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩১৪ টন সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভসের বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে। এ ছাড়া পলিথিন হ্যান্ড গ্লাভস ৬০২ টন, সার্জিক্যাল মাস্ক ৪৪৭ টন, পলিথিন ব্যাগ ৪৪৩ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল থেকে ২৭০ টন বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে।

এসডোর ওই জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসাধারণ ফেসমাস্ক ব্যবহার করছে। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ একবার ব্যবহারযোগ্য সার্জিক্যাল ফেসমাস্ক ব্যবহার করে। এর ২০ শতাংশ শহরাঞ্চলে ও ৩ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে থাকেন।

লকডাউনের এক মাসে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৪৫ কোটি সার্জিক্যাল ফেসমাস্ক ব্যবহার করা হয়েছে, যা থেকে অন্তত ১৫ হাজার ৯২ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে। রাজধানীতে সার্জিক্যাল ফেসমাস্কের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এখানে অন্তত ৩৫ শতাংশ নিয়মিত সার্জিক্যাল ফেসমাস্ক ব্যবহার করছেন। অন্যান্য শহরাঞ্চলে এ হার ২৮ শতাংশ।

এসব বর্জ্যরে ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব না দিলে জীবাণুর ভয়াবহ বিস্তার ঘটতে পারে বলে জানিয়ে এসডোর মহাসচিব শাহরিয়ার রহমান বলেন, উৎপাদিত প্লাস্টিক বর্জ্যরে বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে পরিবেশে, যা মাটি ও পানিতে মিশে চলে আসতে পারে মানুষের খাদ্যচক্রে। এতে জীবাণুর ভয়াবহ বিস্তার ঘটতে পারে, যা রূপ দিতে পারে গণসংক্রমণের। তাই এসব বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় সরকারকে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে জানিয়ে তিনি ক্ষতিকর বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য দ্রুত একটি গাইডলাইন তৈরির পরামর্শ দেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বায়ুমান) জিয়াউল হক বলেন, কোভিড-১৯ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের সংস্থাগুলো হিমশিম খাচ্ছে। যত্রতত্র এসব আবর্জনা না ফেলে জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে। ত্রাণ কার্যক্রমে পলিথিন ব্যবহার না করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে পলিথিনের শপিংব্যাগ বা বাজারের ব্যাগ থেকে। গত এক মাসে পলিথিনের ব্যাগ থেকে উৎপন্ন হয়েছে ৫ হাজার ৭৯৬ কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য। সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে কেনাবেচা, ত্রাণ বিতরণ এবং খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বেড়েছে।