করোনা সংক্রমণের কারণে এর আগে কাউকে যেন চাকরি থেকে ছাঁটাই না করা হয় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরেও গত এক মাসে প্রায় ১২ কোটি চাকরি লকডাউনের বাজারে অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে Centre for Monitoring Indian Economy (CMIE)। সেইসাথে সবচয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছোটো ব্যবসায়ী ও দিনমজুররা।
তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, মে মাসে দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ২৭.১ শতাংশ, যেটা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও শিল্পোত্পাদন কমেছে প্রায় ১৬.৭ শতাংশ।
উল্লেখ্য, করোনার জেরে ২৫ মার্চ থেকে ভারতে চলছে লকডাউন। ধাপে ধাপে তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১৮ মে থেকে যে চতুর্থ লকডাউন হবে, তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
এক প্রতিবেদনের বরাতে জানা গেছে ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে উত্পাদন কমেছে ২০.৬ শতাংশ, বিদ্যুৎ উত্পাদন কমেছে ৬.৮ শতাংশ। ২৬ এপ্রিলের সপ্তাহে বেকারত্ব ছিল ২১.১ শতাংশ, তার আগের সপ্তাহে ২৬.২ শতাংশ।
সেইসাথে Consumer Pyramids Household Survey অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, এপ্রিলে ১১.৪ কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। মার্চ মাসেই কর্মরত ছিলেন ৩৯.৬ কোটি মানুষ এরপরও এপ্রিলে চাকরি হারিয়েছেন ২৯ শতাংশ মানুষ। এখন চাকরি আছে ২৮.২ কোটি মানুষের।