জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে প্রাণ গেল আরও তিন সন্ত্রাসবাদীর। একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিল তারা।
কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, রমজানের সময় ২০ মে পান্ডাচ চকের কাছে দুই বিএসএফ জওয়ানকে খুন করেছিল ওই সন্ত্রাসবাদীরা।
আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে শ্রীনগরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এখনও তা চালু হয়নি। জাদিবাল এলাকায় সন্ত্রাসবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর আসে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কাছে।
এরপরই রোববার ভোরে ওই এলাকায় যৌথ অভিযান চালায় CRPF ও সেনাবাহিনী। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। সেখানকারই একটি বাড়ির ভেতর লুকিয়ে ছিল সন্ত্রাসবাদীরা। বাহিনীকে লক্ষ করে তারা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। পালটা গুলি চালান জওয়ানরাও। এরপরই দু পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তীব্র গুলিবিনিময়। এসময় গুলিতে মৃত্যু হয় তিন সন্ত্রাসবাদীরা।
এর আগে, শনিবারই জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়। শোপিয়ান ও কুলগামের সীমানা এলাকা লারকিপোরা।
সেখানকার বাগান চত্বরে সন্ত্রাসবাদীরা জড়ো হয়েছিল। পুলিশের কাছে এই খবর পৌঁছলে, শনিবার সেখানে যৌথ অভিযান শুরু হয়। ভারতীয় সেনার ৩৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেল, সিআরপিএফ ও পুলিশের যৌথ একটি টিম সেখানে যায়।
গোটা চত্বর ঘিরে ফেলে, শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা আড়াল থেকে গুলি চালালে, যৌথ বাহিনীও জবাব দিতে থাকে। এনকাউন্টারে প্রাণ যায় এক সন্ত্রাসবাদীর।
সুত্র: এই সময়।