বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সারাদেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো অফিস এবং পোস্ট অফিস থেকে ১০০ টাকা মূল্যমানের বন্ড কেনা ও ভাঙানো যায়।
ধরন:
ভারত ও পাকিস্তানে ১০০ থেকে ৪০ হাজার রুপি মূল্যমানের আট ধরনের প্রাইজবন্ড থাকলেও বাংলাদেশে সেই ১৯৯৫ সাল থেকে এই ২৪ বছর ধরে শুধুমাত্র ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু আছে।
প্রাইজবন্ড কিনতে কি লাগে এবং প্রাইজবন্ড কিভাবে কিনতে হয়?
প্রাইজবন্ড কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অন্য কোন কাগজপত্র লাগে না। শুধমাত্র টাকার বিনিময়ে প্রাইজবন্ড কেনা যায়। ইসলামী শরিয়াভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংক ছাড়া অন্য যে কোন ব্যাংক থেকে কেনা যায়।
কতটি সিরিজের প্রাইজবন্ড আছে এবং প্রতি সিরিজে কতটি প্রাইজবন্ড থাকে?
এপ্রিল ২০১৯ অনুযায়ী দেশে ৫৫টি সিরিজের প্রাইজবন্ড চালু আছে, অর্থাৎ একই নম্বর ৫৫টি সিরিজেই আছে এবং প্রতিটি সিরিজে ১০,০০০০০ (দশ লাখ) পিস করে প্রাইজবন্ড থাকে। সেজন্য প্রতিটি প্রাইজবন্ডের নাম্বার ০৭ (সাত) সংখ্যার এবং ১ম সংখ্যাটি অবশ্যই শূণ্য দিয়ে শুরু হয়। সেই হিসাবে দেশে মোট প্রাইজবন্ডের সংখ্যা হলো ৫ কোটি ৫০ লাখ পিস।
ব্যাংকে যেগুলো রির্টান করার হয়, সেগুলো কি ড্র এর আওতাভুক্ত?
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেগুলি একবার বিক্রি হবে সেগুলো ড্র‘র আওতাভুক্ত। আমি আপনি কেনার পর আবার কোন ব্যাংকে রিটার্ন করলে সেগুলি ড্র এর আওতাভুক্ত। সেখান থেকে কোন নাম্বার বিজয়ী হলে ব্যাংক কতৃপক্ষ তার দাবীদার। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিক্রি হবার পর যার কাছে প্রাইজবন্ড থাকবে সেই এটার মালিক।
১টি প্রাইজবন্ডের মেয়াদ কতদিন: প্রাইজবন্ড এর ড্র হয়ে যাওয়ার পরও এর মেয়াদ শেষ হয় না। পরবর্তী ড্র এর সময়ও এর মেয়াদ থাকে, অর্থাৎ প্রাইজবন্ড এর মেয়াদ কখনো শেষ হয় না। তবে একবার পুরস্কার বিজয়ী হলে মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
ফলাফল:
ড্র-এর ফলাফল পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে ।