ডিপ্রেশন শব্দটির সাথে আমাদের বর্তমান যুগে পরিচয় থাকাটা খুব স্বাভাবিক। তরুণ প্রজন্মের মাঝে এটি বহুল
পরিচত একটি শব্দ | যে-কোন দেশ এর জনসংখ্যার প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ লোক এই বিষন্নতায় বা ডিপ্রেশন
এ ভোগেন | যে-কোন বয়সের মানুষই কম-বেশি বিভিন্ন কারণে ডিপ্রেশনে ভুগছেন। আগে আমরা জানতাম শুধু
বৃদ্ধ বয়সের মানুষ ডিপ্রেশন এ ভোগেন কিন্তু এখন এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে |গবেষণায় দেখা গেছে যে,
ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি ডিপ্রেশনে ভোগেন|
এখন করোনার জন্য অনেক দিন সবাই বাসায় বন্ধি এই সময় এ অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছেন, আমাদের
দৈনন্দিন জীবন অনেকটা থেমে আছে তাই এখন ডিপ্রেশন এর প্রভাব টা একটু বেশি |
ডিপ্রেশন একজন মানুষের জন্য ক্ষতিকর এটা জানা সর্তেও খুব কম মানুষ আছেন যারা এটা কে নিয়ন্ত্রণ করতে
পারেন । তবে সেটার শতকরা হার অনেক কম। ডিপ্রেশন এক ধরণের মানসিক চাপ। প্রচন্ড মানসিক চাপে পড়লে
কিছু কাজ আছে যেগুলো করলে আমরা ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে পারি।
আমি নিজেও একটা সময় খুব বেশি ডিপ্রেশনে ভুগেছি। সেটা থেকে একের পর এক আমার জীবনে অনেক
খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীনও হয়েছি। অনেক বেশি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছি। তাই, একজন ডিপ্রেশনে থাকা
মানুষের যন্ত্রণা কতটুকু আমি বুঝি।নিজেকে ডিপ্রেশন থাকে মুক্ত করার জন্য আমি অনেক কিছু বই
পড়েছি,কাছের মানুষ গুলোর থাকে পরামর্শ নিয়েছি আর সেটা থেকেই চেষ্টা করছি এমন কিছু কথা বলার যা
হয়তো আপনাদের কাজে আসতে পারে।
ডিপ্রেশনকে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর রোগ বলে মনে করি। কারণ, অন্যান্য যে কোন রোগ শুধুমাত্র
আক্রান্ত ব্যক্তিকেই কষ্ট দেয়। কিন্তু এটি এমনই একটি রোগ যা আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সাথে তাকে যারা ভালোবাসে
তাদেরকেও কষ্ট দেয় ।
পরিস্থিতিভেদে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ডিপ্রেশনে ভোগেন। এটি সাধারণ হলেও এর ব্যপ্তি অনেক মারাত্বক।
ডিপ্রেশন শারীরিক বা মানসিক যে কোন ধরনেরই হতে পারে। তাই ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে হলে এর কারণ
,লক্ষণ,এবং এর মুক্তির উপায় অব্যশই জানতে হবে।
ডিপ্রেশন কি?
ডিপ্রেশন একটি মুড ডিজঅর্ডার। মেডিকেলের ভাষায় এটিকে মেজর ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডারও বলা হয়ে থাকে।
মানুষের মনের নানা রকম খারাপ অবস্থার চূড়ান্ত পরিণতি এটি, যাকে সহজ বাংলায় বিষন্নতা বলা হয়ে থাকে।
অধিকাংশ সময়ই কোন কিছুতে আগ্রহ বোধ করা থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন।
সাধারণত, একজন স্বাভাবিক মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিদিনই মেজাজের একটা উঠা-নামা হয়। কিন্তু ডিপ্রেশনে ভোগা
মানুষের ক্ষেত্রটা ভিন্ন, তারা প্রায় সব সময়ই একটা বিষন্ন ভাবের ভেতর দিয়ে জীবন যাপন করে থাকেন। আর
এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বড় ধরণের কোন ঘটনা বা দূর্ঘটনা থেকে হয়ে থাকে।
ডিপ্রেশন একটি চলমান সমস্যা। এটি দিনের পর দিন , মাসের পর মাস, কিংবা বছরের পর বছর ধরেও চলতে
পারে। এটি একজন মানুষকে শুধু মানসিক সমস্যাতেই ফেলে রাখে না। এটি ধীরে ধীরে বিভিন্ন জটিল শারীরিক
সমস্যা ও সৃস্টি করে থাকে। ডিপ্রেশন থেকে অনেক বড় ধরণের রোগ ও হতে পারে। যেমন-
1) Arthritis বা বাত জ্বর
2) Asthma বা হাপানি বা শাসকষ্ট
3) Cardiovascular disease – নানা রকমের হৃৎরোগ
4) Cancer – ক্যান্সার
5) Diabetes – ডায়াবেটিস
6) Obesity – স্থুলতা
ডিপ্রেশনের কারণঃ
ডিপ্রেশন ঠিক কি কি কারণে হয় এটার কোন সীমা আছে বলে আমার মনে হয় না। যে কোন কারণেই ডিপ্রেশন
হতে পারে, তবে ব্রেইন এন্ড বিহেভিয়র রিসার্চ ফাউন্ডেশন এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এর মধ্যে কিছু সাধারণ বিষয়
আমি তুলে ধরছি।
১. অপমানবোধঃ মানসিক বা শারীরিকভাবে অবমাননার স্বীকার হলে অনেকে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতায় আক্রান্ত
হয়। কারোর অতীত জীবনের শারীরিক নির্যাতন পরবর্তীতে ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে |
২. নিরাপত্তাহীনতা বা একাকীত্বঃ সামাজিক ও পারিবারিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেকে বিষণ্নতার স্বীকার
হয়। তাছাড়া, বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধব ,স্বামী -স্ত্রী মাঝে বিচ্ছেদ ,বা অন্যান্য কাছের মানুষদের সাথে সম্পর্কহীনতা বা
মতবিরোধ থেকেও অনেকে বিষণ্ণতায় ভুগে থাকেন ।
৩. মৃত্যুশোকঃ কাছের মানুষের মৃত্যু অনেকের ক্ষেত্রে বিষণ্ণতার ঝুঁকি অনেক গুন বাড়িয়ে তোলে।
৪. বংশগত প্রভাব : যদি কারো পরিবারক্রমে এমন মানুষের সংখ্যা বেশি হয়, তাহলে এটিতে আক্রান্ত হওয়ার
সম্ভাবনা বেশি।
৫. জীবনে বড় ধরণের পরিবর্তনঃ জীবনে বড় কোন পরিবর্তন ঘটলে তা থেকে অনেকে বিষণ্ণতায় ভুগে। চাকরি
হারালে, অবসরে গেলে, আয় কমে গেলে, জায়গা পরিবর্তন করলে, বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে, এমনকি, নতুন বিয়ে
করলেও অনেকে ডিপ্রেশন এর শিকার হয় ।
৬. বড় কোন রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ বড় ধরণের কোন রোগ থাকলে রোগী ডিপ্রেশনের শিকার হতে পারে।
৭. ঔষধের প্রভাবঃ নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ সেবনের ফলেও কেউ কেউ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়। যেমন, ব্রণের
চিকিৎসায় ব্যবহৃত আইসোট্রেটিনিয়ন বা অ্যান্টিভাইরাল “ইন্টারফেরন-আলফা” জাতীয় ঔষধ সেবনেও অনেকে
বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়।
৮. ভালো বা খারাপ কোনটি না থাকা |
৯. অনুভূতিগুলো বেশিরভাগ লুকিয়ে রাখা |
১০. ইচ্ছে করেই অনেক ব্যাস্ত জীবন বেছে নেয়া |
আর উপরের সবগুলির চেয়ে ভয়াবহ কারণ হচ্ছে হতাশা। কিছু মানুষ নিজেদের সব সময় ব্যর্থ ভাবেন এবং
নিজেকে অনেক ছোট করে দেখেন যা থেকে ডিপ্রেশন সৃষ্টি হয়।
ডিপ্রেশনের লক্ষণ সমূহ :
১। মনে অশান্তি, কষ্ট, মন খালি খালি লাগা ও দুশ্চিন্তাবোধ।
২। নেতিবাচক মনোভাব, সব কিছুতে হতাশা ও নিজের কোনো ভবিষ্যৎ নেই ভাবা।
৩। উৎসাহহীনতা।
৪। আনন্দদায়ক কাজে আনন্দ না থাকা।
৫। নিজেকে অপরাধী ভাবা।
৬। কাজকর্মে, চলাফেরায় ধীর হয়ে যাওয়া।
৭। মৃত্যুর চিন্তাভাবনা, আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা (এমনকি অনেকে এ রোগে আত্মহত্যাও করে বসে)।
৮। মনোযোগহীনতা, বিরক্তি ভাব।
৯। আত্মবিশ্বাসের অভাব।
১০। স্মরণ শক্তির সমস্যা।
১১। সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা।
১২। শরীর ও মাথাব্যথা।
১৩। ঘুমের সমস্যা।
১৪। খাওয়ায় অরুচি।
১৫। খাবার হজমে সমস্যা |
১৬ | মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া |
১৭ | শূন্যতা বোধ করা , যে কোন বিষয়ে নিরাশ হয়ে যাওয়া |
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির জন্য কি কি সহায়ক হতে পারে?
১. রুটিনমাফিক চলাঃ ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিনের জীবনকে একটা রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
প্রতিদিনের কাজ-কর্মকে যদি একটা নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলা যায় তবে তা ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে সাহায্য
করবে।
২. লক্ষ্য নিয়ে কাজ করাঃ লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। ডিপ্রেশনে যেহেতু কোন কাজ করতে ইচ্ছা করে না তাই
প্রতিদিন একটু একটু করে কাজ করার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
যেমন , প্রথম দিন আপনি ঠিক করলেন আপনি আজ একটা মজার কিছু রান্না করবেন। যদি আপনি সেই কাজটা
ঠিক মত করতে পারেন তবে পরের দিন আর একটু বেশি কিছু করার কথা চিন্তা করতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে
কাজের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়াতে পারলে এক সময় ডিপ্রেশন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ প্রতিদিন অল্প কিছু সময় ব্যায়াম করলে তা আপনার শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখবে।
ব্যায়াম করা মানে, ম্যারাথন দৌড় টাইপ কিছু না, আপনি যদি প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটাহাটি করেন তবুও তা
আপনার মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যা আপনাকে ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।
৪. সুষম খাদ্য গ্রহণঃ সুষম খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি মেলে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন খাবারে
প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ থাকে। সাইক্রায়াটিস্টদের মতে, যেসব খাবারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিড এবং ফলিক এসিড
থাকে সেসব খাবার ডিপ্রেশন কমাতে সহায়তা করে। ভিটামিন বি,সি ,ডি ও আয়রণযুক্ত খাবার মন ও শরীর কে
ভালো রাখতে সাহায্য করে | এইজন্য আমরা নিয়মিত শাক-সবজি ,ফলমূল বেশি পরিমানে খেতে পারি আর
সাথে পরিমান মতো পানি পান করতে হবে |
৫. অনিদ্রা দূর করাঃ পর্যাপ্ত ঘুম ডিপ্রেশন কমায়। ডিপ্রেশনের রোগীদের নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়্। তাই, প্রথমেই ঘুম
সমস্যার সমাধান করতে হবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে নিদ্রাহীনতা দূর করা সম্ভব।
প্রতিদিন ঠিক সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। দিনের বেলার
হালকা ঘুমের অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। শোবার ঘর থেকে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল এগুলো সরিয়ে
রাখতে হবে। এভাবেই অনিদ্রা রোগ ধীরে ধীরে দূর করা সম্ভব।
৬. ইতিবাচক চিন্তা করাঃ ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকলে মানুষের মনে বিভিন্ন রকম নেগেটিভ চিন্তা ঘুরপাক খেতে
থাকে। যেমন, আমিই বুঝি সবচেয়ে খারাপ, আমার মত দুঃখ কারো নেই, আমি সবার চেয়ে অসুস্থ, আমি ব্যর্থ
একজন মানুষ- এই ধরণের চিন্তাগুলো সুস্থ হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। তাই, এই নেগেটিভ চিন্তাগুলোকে মন
থেকে দূর করে পজিটিভলি চিন্তা করার চেষ্টা করতে হবে। যুক্তি দিয়ে সবকিছু বিচার করতে হবে। আশাহত হওয়া
যাবে না কোনভাবেই।
৭. আনন্দদায়ক কাজের মধ্যে সময় কাটানোঃ পরিবার কে সময় দেয়া, নতুন কোথাও ঘুরতে যাওয়া, মজার কোন
বই পড়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া,খেলাধুলা করা ,ছবিআঁকা ,গানশোনা , কমেডি মুভি দেখা। নতুন কিছু
করার চেষ্টা করতে হবে | মন ভালো রাখার সবরকম চেষ্টা করতে হবে। মন ভালো থাকলে ডিপ্রেশন কেটে যাবে
একসময় |
৮. যখন ডিপ্রেশনে ভুগছেন তখন অব্যশই বড় কোন সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ যে সিদ্ধান্ত নিবেন
তার ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি | আর যদি সিদ্ধান্ত নিতেই হয় তবে এমন কাউকে নিতে বলুন যাকে আপনি সব
থেকে বেশি বিশ্বাস করেন |
৯. মাদক থেকে দূরে থাকুন | এটি আপনাকে ডিপ্রেশন থেকে সাময়িক দূরে রাখলেও পরবর্তীতে এটাই আপনার
জন্য বিপদের মূল কারণ হয়ে দাড়াবে|
১০. হেরে যাবেন না যতক্ষণ সত্যি সত্যি সব শেষ না হয় ,অর্থাৎ কোন ঘটনার শেষ না দেখে হতাশ হবেন না|
হয়তো আপনার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে |
১১. প্রার্থনা :
প্রতিটি মানু্ষই বাঁচে আশার মাধ্যমে। আর এই আশা পূর্ণতা পায় বিশ্বাসের মাধ্যমে। এই বিশ্বাস ধর্মের প্রতি,
সৃষ্টিকর্তার প্রতি। সাধারণত মানুষ যখন ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতায় ভোগে তখন তাদের কোন আশার বিঘ্ন ঘটে যার
ফলে তারা ধীরে ধীরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে শুরু করে। এমন সময় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ, নিজের বিশ্বাসকে
শক্ত করার মাধ্যমে মানুষ শক্তি খুঁজে পায়।
সাইকোলজিস্টদের মতে, বিষণ্ণতায় নিজ নিজ ধর্মের প্রার্থনা মন ভালো করতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
” When you feel like worrying, try praying instead. Worrying only creates more stress, but prayer creates
more peace. God is bigger than whatever is stressing you out.”
—-Dave Willis
১২. প্রকৃতির কাছে যাওয়া :
বর্তমান যুবসমাজ বিষণ্ণতা দূর করতে সবচেয়ে বেশি যে কাজটি করতে পছন্দ করে তা হল স্বাভাবিক জীবনযাত্রা
থেকে বিরতি নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা।
মানু্ষের মনের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক সেই আদিকাল থেকেই। আবহাওয়ার সামান্য পরির্বতন মানুষের মনে
যেভাবে দোলা দেয় সেইভাবে তা বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করে। সুন্দর কোন প্রাকৃতিক জায়গায় গিয়ে
মানু্ষ চায় সবকিছু কিছুক্ষণের জন্যে ভুলে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে। এইভাবে প্রাকৃতিক জায়গায় ঘুরতে
যাওয়াও বিষণ্ণতা কাটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
“If you truly love nature, you will find beauty everywhere.”
——Laura Ingalls Wilder
১৩. ধৈর্য ধারণ :
মানুষ যখন বিষণ্ণতায় থাকে তাদের মধ্যে কাজ করে অস্থিরতা। যেকোন সমস্যার তারা চায় তাৎক্ষণিক বা দ্রুত
সমাধান। আর এ সমাধান না পেলে তারা আরো বেশি বিষণ্ণ হয়ে পড়ে।
এই সময় আমাদের সবচেয়ে বেশি যা করা দরকার তা হল ধৈর্য ধারণ। আমাদের মনে বিশ্বাস রাখতে হবে যে সব
কিছুর সমাধান আছে এবং সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রতিটি কাজের মাঝেই আমাদের বিশ্বাস আর ধৈর্য ধারণ করে
আগাতে হবে। আমাদের এতটুকু মাথায় রাখতেই হবে যে, বিষণ্ণতা একবারে যাবে না। ধীরে ধীরে মানসিক শান্তি
আসবে। বিষণ্ণতা কমে যাবে।
“Patience is not the ability to wait, but the ability to keep a good attitude while waiting.”
Or
“One moment of patience may ward off great disaster. One moment of impatience may ruin a whole
life.”
—Chinese Proverb
১৪. ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণঃ ডিপ্রেশন পুরোপুরি না ভালো হওয়া পর্যন্ত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা
চালিয়ে যেতে হবে।
এভাবেই একসময় ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি মিলবে।
সাফা মাসুদ
ডিপার্টমেন্ট অব ফার্মেসি
ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ