করনোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে ঢাকা বিভাগ ও এর আশেপাশের অঞ্চলে সংক্রমণ বেশি থাকলেও বর্তমানে তা কমেছে। এখন ঢাকার বাইরেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগের রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১৮ জন (ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ছাড়া অন্যান্য জেলা) ।চট্টগ্রামে শনাক্তের সংখ্যা ৩৮২ জন এবং রাজশাহীতে এই সংখ্যা ২৩৮ জন।
অর্থাৎ ঢাকা বিভাগের তুলনায় অন্যান্য বিভাগে করোনা সংক্রমণের হার বেশি। নানা কারণে নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় শনাক্ত কম হচ্ছে। তবে পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। সব শেষ নমুনা পরীক্ষা হিসাবে শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ১২ শতাংশ। গড়ে প্রতি চারজনে একজন এ রোগে আক্রান্ত।
করোনাকালীন অবাধ যাতায়াত, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করা, অনেক স্থানে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন ঈদে সাবধান না হলে অবস্থার আরও অবনতি ঘটবে এমন শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তবে তারা ঢাকার বর্তমান অবস্থাকে স্থিতিশীল বলছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ২৫ জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২১৩ জন। এর মধ্যে ২০৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই সময়ে ঢাকা বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১১৮ জন এবং ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৮ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগের শনাক্ত রোগী ৩৮২ জন এবং ভর্তি ১২৯ জন। রাজশাহীতে শনাক্ত রোগী ২৩৮ জন এবং ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৬ জন। রংপুর বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৮ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৯ জন। খুলনা বিভাগে এই সময়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৩৫ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ জন।
বরিশাল বিভাগে শনাক্ত হয়েছে ৮৬ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬ জন। সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ১০২ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯ জন। কন্ট্রোল রুম থেকে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন জেলার রোগী ঢাকায় এসে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করায় এতদিন ঢাকায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ছিল।
প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর থেকে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে এর সংখ্যা। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৮ জন। এতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই হাজার ৮৭৪ জন। সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ২২ হাজার ৩৯২ জন।