তুরস্ক ও সিরিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের চার দিন পরে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। উভয় দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে
গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরতায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পের পর অন্তত ১০০ পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে পরাঘাতের মাত্রা ছিল ৪ বা তার চেয়ে একটু বেশি।
আরও পড়ুন :
এর আগে ১৯৯৯ সালে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।
গতকাল শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আদিয়ামান প্রদেশ সফর করেছেন। সেখানে গিয়ে তিনি সরকারের উদ্ধারকাজের ধীরগতি স্বীকার করেছেন। এরদোয়ান বলেছেন, আমাদের আরও দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা উচিত ছিল। যদিও এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্ধারকারী দল রয়েছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা যতটা দ্রুত কাজ আশা করেছিলাম, ততটা দ্রুত করা যায়নি।
আল জাজিরার সাংবাদিক রেসুল সেরদার কাহরামানমারস শহর থেকে বলেছেন, সময় যত পার হচ্ছে উদ্ধারকারীরা জীবিত উদ্ধারের আশা তত ছেড়ে দিচ্ছেন। কারণ ভূমিকম্প ঘটার পর ৯৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে জীবিত মানুষ উদ্ধারের আশা খুবই কম। তার পরও অনেক মানুষ তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবিত ফিরে পাওয়ার আশায় ধ্বংসস্তূপের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।
তার পরও ভূমিকম্পের ১১০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেসুল সেরদার।