তুরস্ক ও সিরিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সপ্তম দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। উভয় দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে
গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরতায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পের পর অন্তত ১০০ পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে পরাঘাতের মাত্রা ছিল ৪ বা তার চেয়ে একটু বেশি।
আরও পড়ুন :
এদিকে সপ্তম দিনের উদ্ধার অভিযানেও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে প্রাণের সন্ধান মিলছে। উদ্ধারকারীরা বলছেন, যত সময় গড়াচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে।
সিএনএন জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ১৪৭ ঘণ্টা পরেও ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ১০ বছর বয়সী এক মেয়েকে উদ্ধার করেছে তুরস্কের উদ্ধারকারী দল। তবে ‘নিরাপত্তা হুমকির’ কারণ দেখিয়ে ইসরায়েল থেকে আসা উদ্ধারকারী দল ইউনাইটেড হাটজালাহ ছয় দিন পর তুরস্ক ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
তুরস্ক থেকে আরও তিনটি উদ্ধারকারী দল বিবিসিকে বলেছে, দক্ষিণ তুরস্কে লুটপাট ও সংঘর্ষের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। জার্মানি থেকে আসা উদ্ধারকারী দল ও অস্ট্রিয়ার সেনাবাহিনী গত শনিবার তাদের উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেছে। তারা বলেছে, এখানে স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে গোষ্ঠীগুলোর নাম উল্লেখ করেনি তারা।