পার্বত্য অঞ্চলে জঙ্গিদের খোঁজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকার কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, দুর্গম পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি সংগঠনের আমিরসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নাম পাওয়া গেছে। তবে তাদের বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা যায়নি। দেশের বিভিন্ন ব্যক্তিদের টাকায় এ সংগঠন (জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া) চলছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি।
সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকা থেকে তথাকথিত হিজরতের নামে ঘর ছাড়া ৩৮ তরুণের তালিকা প্রকাশ করেছিল র্যাব। নতুন করে আরও ১৭ জনের তালিকা প্রকাশের কথা জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তা কমান্ডার মঈন।
আরও পড়ুনঃ জলবায়ু পরিবর্তনে মারাত্মক ঝুঁকিতে বিশ্বের ১০০ কোটি শিশু
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়া কয়েকজন তরুণের বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে সম্প্রতি ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামে নতুন এক জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পায় র্যাব। র্যাব বলছে, উগ্রবাদে আকৃষ্ট হয়ে গত দুই বছরে বাড়ি ছাড়া ৫৫ তরুণের খোঁজ তারা পেয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৮ জনের একটি তালিকা প্রথমে প্রকাশ করা হয়।
দুর্গম পাহাড়ে গিয়ে সমতলের জঙ্গিরা একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন ‘কেএনএফের’ ছত্রছায়ায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। দুই দফায় ওই জঙ্গি সংগঠনের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে অভিযান চালিয়ে তিন পাহাড়িসহ জঙ্গি সংগঠনটির সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।