পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমছে


পেঁয়াজ


অবশেষে দেশের বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে স্বস্তি বিরাজ করছে দেশের পেয়াজের বাজারে। দাম আরও কিছুটা কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

এর মধ্যেই ঘোষণা এসেছে ভারত বাংলাদেশে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে।

পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে। এখানকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাজেদ বলেন, গতকাল দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তবে আজ সকালে ৬৫ টাকাতেই বিক্রি করলাম। দাম একটু কমের দিকেই।

গতকাল শনিবার শ্যামবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়, যা দুই দিন আগের তুলনায় ২০ টাকার মতো কম। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে।

এদিকে ঢাকার খুচরা বাজারেও দাম কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা দোকানে গতকাল দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরা বিক্রেতারাও ক্রেতা কম থাকার কথা বলছেন।

স্থলবন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশমুখী পেঁয়াজবাহী ট্রাক গতকাল ছাড়ে ভারত। গতকাল পেঁয়াজ নিয়ে এসব ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, শুধু গত সোমবার আমদানির প্রক্রিয়া শেষ করে যেসব ট্রাক অপেক্ষারত ছিল, সেগুলোকেই বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ

উল্লেখ্য, ভারত গত সোমবার হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে সন্ধ্যায়। তার আগে সারা দিন পেঁয়াজ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেনি। এর মধ্যে বেশ কিছু চালানের আমদানির প্রক্রিয়া শেষের পথে ছিল। ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশে দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। অবশ্য তিন দিন ধরে বাজারে দাম পড়তি।

এর আগে, গত বছর ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় অস্তির হয়ে ওঠে দেশের পেঁয়াজের বাজার। গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। এতে বাজারে হুহু করে বাড়তে শুরু করে দাম। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে শতক হয়, দ্বিশতক হয়।

বাংলাদেশ চাহিদা মেটাতে যতটুকু পেঁয়াজ আমদানি করে, তার ৯০ শতাংশের বেশি আসে ভারত থেকে। ভারত বন্ধ করে দিলেই কেবল ব্যবসায়ীরা অন্য দেশে পেঁয়াজ খুঁজতে শুরু করেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হয় পেঁয়াজ। পরে ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল গত মার্চ মাসে। এরপর থেকে আমদানি হচ্ছিল। কিছুদিন আগে পেঁয়াজের ওপর ৫% আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।