ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা দেখা দিলে শোল্ডার জয়েন্টে তীব্র ব্যথা হয়, হাত নড়াচড়া করতে কষ্ট হয়, এসময় হাত উপরে ওঠানো যায় না। এছাড়াও, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে চুলে খোঁপা করা কষ্টকর হয়। এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে পেছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখা, পিঠ চুলকানো কঠিন হয়ে পড়ে।
ফ্রোজেন শোল্ডার বা কাঁধে জমাট বাঁধা হওয়ার কিছু কারণ হচ্ছে-
কোনো আঘাত বা অপারেশনের পর হাত নড়াচড়া না করলে। ডায়াবেটিস থাকলে, শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমান বেশি থাকলে। আবার কোনো যথাযথ কারণ ছাড়াই ফ্রোজেন শোল্ডার হয়ে থাকে। সময়মত চিকিৎসা না নিলে এ সমস্যা দু-তিন বছর পর্যন্ত থাকতে পারে।
তবে, এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ ফ্রোজেন শোল্ডার হালকা ব্যথার ওষুধ এবং ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। দেখা যায় বেশির ভাগ ফ্রোজেন শোল্ডার রোগী এক মাসেই ভালো হয়ে যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে অনেক সময় লেগে যায়।
আবার যাদের ডায়াবেটিস থাকে, তাদের ক্ষেত্রে ফ্রোজেন শোল্ডার খুবই স্বাভাবিক। তাই এসব রোগীকে নিয়মিত হাতের ব্যায়াম করা দরকার। এছাড়াও, নিয়মিত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ফ্রোজেন শোল্ডার বা কাঁধে জমাট বাঁধা থেকে রক্ষা পেতে কিছু করণীয় তুলে ধরা হল-
হাত দিয়ে ব্যথাযুক্ত হাতকে যথাসম্ভব উপরে তুলুন এরপর মাথার পেছনে নেয়ার চেষ্টা করুন। হাত দিয়ে বৃত্ত তৈরি করতে থাকুন। এছাড়াও, ব্যথাযুক্ত হাতকে দেয়াল ঘষে উপরে ওঠানো-নামানোর সময় বৃত্ত করে নামাতে হবে। টাওয়াল দিয়ে পেছনের পিঠ পরিষ্কার করার মতো করে ব্যায়াম করুন।
প্রতিবার ব্যায়াম শুরুর আগে ১৫ মিনিট গরম পানির সেঁক দিতে হবে। তবে, মনে রাখতে হবে, যদি ব্যথা বেশি হয় তবে ব্যায়াম না করে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ব্যথা কমিয়ে নিতে হবে।
এছাড়াও, সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত হালকা ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে।