নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার দৌড়ে এবার যোগ হলো লবণ। সপ্তাহের ব্যবধানে লবণের দাম বেড়েছে কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত। লবণের পাশাপাশি আবারও বেড়েছে পেঁয়াজ, আলু, মসুর ডাল, ময়দা ও আটার দাম।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। লবণ, আলু, ডাল, আটার দাম বাড়ার বিপরীতে সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল, পাম অয়েল, রসুন, আদা, এলাচ, ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের দাম কমেছে বলে জানিয়েছে টিসিবি।
রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।
টিসিবি জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে লবণের কেজি ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এখন দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪২ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে লবণের দাম বেড়েছে দু-তিন টাকা। শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ছয় দশমিক ৬৭ শতাংশ। রোববার (১১ ডিসেম্বর) এ দাম বেড়েছে।
বেড়েছে আলু ও দেশি পেঁয়াজের দামও। আলুর দাম ২১ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ৩৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২২ থেকে ২৫ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজের দাম পাঁচ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৫ থেকে ৫০ টাকা।
ছোট দানার মসুর ডালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে এক দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। প্যাকেট ময়দার দাম বেড়েছে পাঁচ দশমিক ৮১ শতাংশ। এতে এক কেজি প্যাকেট ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৪ টাকা, যা আগে ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। খোলা আটার দাম এক দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়ে কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ থেকে ৬৩ টাকা।
অন্যদিকে মোটা চালের দাম তিন দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে এখন কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। আগে এ চালের দাম ছিল ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা। লুজ পাম অয়েলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে পাঁচ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এতে এক লিটার লুজ পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, দাম কমার তালিকায় রয়েছে আমদানি করা পেঁয়াজ। সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে পাঁচ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এতে এই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এছাড়া আমদানি করা রসুনের দাম আট শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা, যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। দেশি আদার দাম ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ কমে কেজি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা হয়েছে, যা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ থেকে ১৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা আদার দাম কমেছে সাত দশমিক ১৪ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ
দাম কমার এ তালিকায় থাকা এলাচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে আট দশমিক ৩৩ শতাংশ। এতে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল এক হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম তিন দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। আর ফার্মের ডিমের দাম পাঁচ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে হালি (৪টি) ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।
এর আগে ৩০ নভেম্বর ডানো, ডিপ্লোমা, ফ্রেশ এবং মার্কস গুঁড়া দুধের দাম বাড়ার তথ্য দেয় টিসিবি। সে সময় সরকারি প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ডানো গুঁড়া দুধের কেজি ৮৪০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৮১০ থেকে ৮৫০ টাকা। ডিপ্লোমা ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৮০০ থেকে ৮৪০ টাকা। ফ্রেশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০০ থেকে ৮১০ টাকা। মার্কস ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৭০০ থেকে ৭৯০ টাকা।