২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে যে সীমানা ছিল, তা অক্ষুণ্ন রেখেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সীমানা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুধু ছয়টি আসনের কয়েকটি উপজেলা ও ইউনিয়নের প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে গুরুত্ব দিয়ে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ইসি আলমগীর বলেন, ‘নতুন কিছুই নেই। ২০১৮ সালে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেটাই অক্ষুণ্ন রয়েছে। শুধু প্রশাসনিক কারণে নামের পরিবর্তন হয়েছে অথবা প্রশাসনিক বিভক্তি যেগুলো হয়েছে, সেগুলো পুরোনো নাম বাদ দিয়ে নতুন নাম দিয়ে করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন :
ভাষা আন্দোলনে অবদান না থাকলে বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন কেন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
জনশুমারি অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করতে সময়ের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে ইসি আলমগীর জানান, জনশুমারির প্রতিবেদন করতে আরও বছরখানেক সময় লাগবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা তো করতে পারছি না। তারা খসড়া যেটা দিয়েছে, সেটা আমলে নিয়েছি। তবে প্রশাসনিক অখণ্ডতা এবং ভৌগোলিক বিষয়টাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।’
এই সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশের পর যদি জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয়রা সমস্যা মনে করেন, ২০ দিন সময়ের মধ্যে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। প্রত্যেকটি আবেদনই ইসি শুনানি করবে বলে জানান তিনি।
ইসি আলমগীর বলেন, ‘তাঁদের বক্তব্য যদি সঠিক হয়, কেউ যদি বিরোধিতা না করেন এবং আমাদের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে তাঁদের বক্তব্য যৌক্তিক, তখন হয়তো আমরা পরিবর্তন আনতে পারি। এ ছাড়া কোনো পরিবর্তন হবে না।’