মন চাইলে প্রিন্ট করে খাওয়া যাবে দোসা


মন চাইলে প্রিন্ট করে খাওয়া যাবে দোসা


দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় খাবার দোসা এখন প্রিন্টারে প্রিন্ট করে বানানো যাবে। কেনই বা নয়, যুগটাই যে প্রযুক্তির।

এখন থেকে রীতিমতো প্রিন্টারে প্রিন্ট করে খাওয়া যাবে দোসা। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, দোসা প্রিন্টারে সমান পুরুত্বের দারুণ মচমচে দোসা তৈরির ভিডিও।

খাদ্যরসিক সবাই অন্তর্জালে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে এই এ ফোর সাইজের দোসা বানানোর প্রিন্টারের তেলেসমাতি দেখতে। মজার বিষয় হচ্ছে, এই স্মার্ট কিচেন গ্যাজেটটিতে দোসার বিভিন্ন পুরুত্ব আর মচমচে ভাবের মাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া সম্ভব আগে থেকেই।

উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী কায়দায় দোসা বানাতে গেলে গনগনে উনুনে ধোঁয়া ওঠা ছড়ানো তাওয়ায় পানি ছিটিয়ে নিপুণ হাতে সারা রাত গাঁজিয়ে রাখা ডাল-চালের গোলা ছেড়ে দিতে হবে। তারপর অসাধারণ দক্ষতায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেই গোলার বিকেন্দ্রীকরণে কাগজের মতো পাতলা মচমচে দোসা তৈরি হয়।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশি ফুচকা সেরা : সিএনএন

শেষেমেষ এসব ঝক্কি এড়াতে এগিয়ে এল প্রযুক্তি। শুধু পুরুত্ব আর কতটা মচমচে হবে তা নয়, এই দোসা প্রিন্টারে একবারে কতগুলো দোসা তৈরি হবে, সেটিও ঠিক করে দেওয়া যায় আগে থেকেই।

তবে প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই যন্ত্রটি নিয়ে আগ্রহ দেখালেও বিদ্যুৎ খরচ করে এভাবে অদ্ভুত কায়দায় দোসা বানাতে আপত্তি প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

টুইটারে কেউ কেউ বলছেন, সেই দোসার চাল-ডাল পিষে গোলা তৈরি করা, সম্বর-চাটনি বানানো, সবই নিজ হাতে করলে দোসা বানাতে আর এমন কী।

যদিও ভারতের চেন্নাইভিত্তিক স্টার্ট আপ কোম্পানি ইভোশেফ-এর কিচেন গ্যাজেটএখন আলোচনার তুঙ্গে।