আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমি জানি না পিটার হাস তাঁদের কী স্বপ্ন দেখিয়েছেন। পিটার হাস কী করবেন? নিষেধাজ্ঞা দেবেন? তাঁদের মুরব্বিদের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়ে গেছে। উচ্চ পর্যায়েও কথাবার্তা হয়ে গেছে। তলে তলে সব ঠিক হয়ে গেছে, দৌড়াদৌড়ি করে লাভ হবে না।’
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা বেঁচে থাকলে এই দেশে নির্বাচন কেউ বন্ধ করতে পারবে না। নির্বাচন হবে, শান্তিপূর্ণ হবে। এ দেশে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা ৷ এ দেশে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখ হাসিনাই করবেন। নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন হবেই। নির্বাচনে না এলে আমও যাবে ছালাও যাবে। দুইটাই হারাবেন। দুনিয়াব্যাপী আপনারা বদনাম করেছেন, দেশে দেশে বদনাম করছেন, বদনাম ঘুচানোর জন্য শেখ হাসিনা এমন নির্বাচন করবেন, যে নির্বাচন হবে নজিরবিহীন। ফখরুল সাহেব হারালে আর পাবেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, সেদিন বলেছিলাম রূপপুরে ইউরেনিয়ামের চালান আসছে। ফখরুল-আব্বাস-মঈনরা বলে, রূপপুর বন্ধ করে দেবে। ইউরেনিয়াম যেটা আছে সেটা সারা দুনিয়া স্বীকৃত। কোটি কোটি টাকা দিয়ে ইউরেনিয়াম কেনা হলো অথচ তাঁরা বন্ধ করে দিতে চায়। এ জন্য বলেছি, ওদের মাথার ওপর ঢালব। ফখরুল-আব্বাসরা গরম হয়ে যায়, তাঁদের মাথার ওপর ঢালতে হবে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন কোয়ার্টার ফাইনাল, সামনে সেমিফাইনাল, ফাইনাল হবে জানুয়ারিতে। খেলা হবে সারা ঢাকায়, খেলা হবে চট্টগ্রামে, খেলা হবে সিলেটে, খেলা হবে রাজশাহীতে, খেলা হবে বরিশালে, খেলা হবে খুলনায়, খেলা হবে সারা বাংলায়। ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে হবে। এখনই ক্লান্ত হলে চলবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে এদেশে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তাঁর সরকারের নজিরবিহীন উন্নয়নের মতোই নির্বাচন হবে নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বেঁচে থাকলে এই দেশে নির্বাচন কেউ বন্ধ করতে পারবে না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। এ দেশে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখ হাসিনাই করবেন। নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন হবেই।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্টকে স্মরণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে এখানে দাঁড়ালে বিএনপি’র সেই নৃশংস চরিত্র আমাদের চোখের সামনে আসে। এই বিএনপি ওই বিল্ডিং থেকে গ্রেনেড মেরে আমাদের নেত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমাদের ২৩টি প্রাণ সেদিন রক্তাক্ত করেছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছিলাম। এই সেই বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, এখানে এলে বিএনপি কত ভয়ংকর, বিএনপি কত নিষ্ঠুর, সেই ছবি আমরা বারবার দেখতে পাই। কাজেই প্রস্তুত থাকতে হবে, সবদিক থেকেই খেলা হবে। ওরা ফাউল করবে, ফাউলের জবাব দিতে হবে। লাল কার্ড দেখাতে হবে।’