করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে লকডাউনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সফ ল হয়েছিল চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানি। তবে লকডাউন শিথিল করায় দেশগুলোতে নতুন করে সংক্রমণের হার বেড়েছে। ফলে ফের ঝুঁকির মুখে পড়েছে এসব দেশ।
চীনের উহানে সর্ব প্রথম করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হলেও একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল দেশটি। কিন্তু গত সোমবার দেশটিতে নতুন করে ১৭ জন সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র উহান শহরে পাঁচজন সংক্রমিত হন। উহানে নতুন ক্লাস্টার সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস প্রথম দিকে যেসব দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে, সেগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া একটি। কিন্তু ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করে মহামারি ঠেকাতে দারুণ সফল দক্ষিণ কোরিয়া। মহামারি প্রতিরোধে দেশটির মডেল সারা বিশ্বের বহুল প্রশংসিতও।
কিন্তু সম্প্রতি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ কিছু শর্ত রেখে বিধিনিষেধ শিথিল করে দেশটি। এর পরই সিউলে করোনাভাইরাসে গুচ্ছ (ক্লাস্টার) সংক্রমণ ধরা পড়ে। এতে দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো সংক্রমণের ঢেউ শুরু হতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়। এই অবস্থায় গত রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন সতর্ক করে বলেন, এটা (করোনা) শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেষ বলা যাবে না।
করোনা মহামারিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয় ইউরোপে। তবে অন্য দেশের তুলনায় জার্মানি বেশ ভালোভাবে এটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়। তবে সংক্রমণ কমে আসায় দেশটি শিথিল করতে শুরু করে বিধিনিষেধের শর্ত। এর ফলে বেড়েছে সংক্রমণ।