শিক্ষকের ভুলে করোনায় আক্রান্ত ক্লাসের অর্ধেকের বেশি শিশু


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24, prosenjit bangla movie, jeeter bangla movie, songsar bangla movie, bengali full movie, bengali movies 2019, messi vs ronaldo, lionel messi stats, messi goals, messi net worth, messi height


চলছে করোনা মহামারি। ক্ষুদ্র অণুজীবে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এ অবস্থায় বারবার বলা হচ্ছে সচেতনতার কথা। মাস্ক পরতে বলার পাশাপাশি টিকা গ্রহণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। তা না হলে কী পরিমাণ বিপদ হতে পারে তার একটি নমুনা উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসির এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক, যার টিকা নেওয়া ছিল না এবং বই থেকে পড়ার জন্য তিনি মাস্ক খুলেছিলেন। সেখান থেকে সেই ক্লাসের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী কোভিডে আক্রান্ত হয়।

গত মে মাসের ওই ঘটনা সম্প্রতি সিডিসিকে এক কেইস স্টাডিতে জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ত্যু ও রোগের বিস্তার নিয়ে সিডিসির সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত ওই কেইস স্টাডিতে বলা হয়, কোভিডের উপসর্গ থাকার পরও মেরিন কাউন্টির ওই শিক্ষক স্কুলে গিয়েছিলেন। তিনি ধরে নিয়েছিলেন, সেগুলো অ্যালার্জির লক্ষণ।

ওই ক্লাসে থাকা ২২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জনের পরে কোভিড ধরা পড়ে। তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে যে দশ জন বসা ছিল, তাদের আট জনেরই কোভিড হয়েছিল।

সিডিসির পরিচালক ডা. রোশেল ভলেনস্কি বলেন, “ছোটা বাচ্চারা, যাদের এখন টিকা দেওয়ার সুযোগ নেই, তাদের সুরক্ষার কীভাবে হেলাফেলা করা হচ্ছে, তার একটি উদাহরণ এটি।”

সংক্রমিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জেনেছেন, ওই স্কুলে সিডিসির নির্দেশনা অনুসরণ করেই মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্বের সব নিয়ম মানা হয়। কিন্তু যখন জোড়ে পড়ার প্রয়োজন হয়, তখন সেই শিক্ষক কয়েকবার তার মাস্ক খুলেছিলেন বলে তারা বাচ্চাদের কাছে জেনেছেন।

মেরিন কাউন্টির ডেপুটি হেলথ অফিসার ডা. লিসা স্যান্টোরা সিএনএনকে বলেন, স্থানীয় স্কুলগুলোর সব শিক্ষক যেন টিকা নেন, সেজন্য গত জানুয়ারি থেকে তারা বার বার তাগাদা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তারপরও অনেকেই এখনও টিকা নেননি।

ডা. স্যান্টোরা জানান, তার কাউন্টিতে এখন যারা কোভিড নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের ৯০ শতাংশই টিকা নেননি। তাদের অনেকের বয়স ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।  তার মতে, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধ করা কতটা কঠিন হতে পারে, ওই স্কুলের ঘটনাই তার প্রমাণ।

টেক্সাসের একটি স্কুলে প্রবেশের আগে মাপা হচ্ছে এক শিশুর তাপমাত্রা। ফাইল ছবি, রয়টার্স।টেক্সাসের একটি স্কুলে প্রবেশের আগে মাপা হচ্ছে এক শিশুর তাপমাত্রা। ফাইল ছবি, রয়টার্স।সিডিসির পরিচালক ডা. রোশেল ভলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউজের কোভিড ব্রিফিংয়ে বলে, “স্কুলে বাচ্চাদের কীভাবে নিরাপদে রাখা সম্ভব তাতো আমরা জানি, সেজন্য যা প্রয়োজন সবাই তো আমাদের আছে।”

মহামারির মধ্যে স্কুল চালানোর জন্য সিডিসি যে নীতিমালা করেছে, তাতে প্রথমেই টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু যেসব টিকা এখনও বাজারে আছে, তার কোনোটিই ১২ বছরের কম বয়সীদের দেওয়া যায় না। সে কারণে সিডিসি বলছে, ওই শিশুদের সুরক্ষার জন্যই শিক্ষকদের সবার টিকা নিতে হবে।