তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।
তবে খাসোগির পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেওয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জনের সাজা হবে ২০ বছর করে। তবে বাকি তিন ব্যক্তিকে ৭ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করতে হবে।
আজ সোমবার সৌদি প্রেস এজেন্সির বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে খাসোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ও তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরে খাসোগির পরিবারের সদস্যরা বলেছে, তাঁরা হত্যাকারীদের ক্ষমা করেছেন। সৌদি আইন অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের মুক্তির অনুমোদন দিয়েছে।
সৌদি সরকারের কট্টর সমালোচক সাংবাদিক খাসোগিকে গত বছরের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয়। ব্যক্তিগত কাগজপত্রের প্রয়োজনে তিনি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশ করেন জামাল খাসোগি এবং সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসেননি।
জানা গেছে, সৌদি থেকে দুটি ব্যক্তিগত বিমানে আসা ১৫ সদস্যের একটি স্কোয়াড কনস্যুলেট ভবনের ভেতর খাসোগি হত্যায় অংশ নেয়। হত্যার পর ওই স্কোয়াড দ্রুত তুরস্ক ত্যাগ করে। তুরস্কের স্থানীয় দৈনিকগুলোতে ওই ১৫ জনের ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে তিন ব্যক্তি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত বিশেষ ইউনিটের সদস্য। তাঁদের একজন সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর ফরেনসিক বিভাগের প্রধান।
খাসোগিকে মারধরের শব্দ শোনা গেছে। রেকর্ডিং থেকে বোঝা গেছে, খাসোগিকে হত্যার পর কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছে।