দিনাজপুরে হামলার শিকার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণের পর আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নিউরোট্রমা বিভাগের প্রধান।
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলাকে ‘চুরির ঘটনা দেখিয়ে’ করা মামলা ২ আসামি নবিরুল ও সান্টু ৭ দিনের করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
শনিবার বিকেল ৫টার দিকে গ্রেপ্তার দুই আসামি রং মিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম ও সান্টু রায় দাসকে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিশির কুমার বসুর আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ইমাম জাফর অধিকতর তদন্তের জন্য তাঁদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন জানান। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তবে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আরও পড়ুন : নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ, ইমামসহ মারা গেলেন ২১ জন
রিমান্ড মঞ্জুরের পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমাম জাফর। তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামলাটি ডিবি কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই মামলায় দুজনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ইউএনওদের নিরাপত্তায় আনসার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে, রোববার এ বিষয়ে বৈঠক
এদিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ইউএনও’র ওপর হামলা পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা বলে দাবি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের। সংস্থাটির বলছে চুরির কথা বলে হামলার ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা চলছে।
ওয়াহিদা খানম হত্যাচেষ্টা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধান আসামি যুবলীগকর্মী আসাদুলের ভাই শাওন ও মালি সুলতানকে আটক করেছে পুলিশ।