“পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে; ডলারও পানিতে ফেলে জানা ছিল না”


"পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে; ডলারও পানিতে ফেলে জানা ছিল না"


 

মুক্তিপণ দিয়ে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে মুক্ত করার বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এতদিন জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এত দামি জিনিস (ডলার) পানিতে ফেলে জানা ছিল না।

আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে মুক্তিপণের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানান তিনি।

ব্যাগে করে মুক্তিপণ দেয়ার ছবি দেখা গেছে এমন তথ্য তুলে ধরলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা এখন কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কীভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না। জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এত দামি জিনিস (ডলার) পানিতে ফেলে জানা ছিল না।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আইএমওর (আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থা) সি ক্যাটাগরি সদস্য। আমরা একটা প্রস্তাবনা তৈরি করছি, যেটা নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। আইএমওতে যে ১৭৪টা দেশ আছে তাদের কাছে আমরা একটা প্রস্তাবনা দিব- কীভাবে আমাদের সমুদ্রপথটাকে নিরাপদ রাখতে পারি।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি এখন দুবাইয়ের উদ্দেশে যাচ্ছে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটি ১৯ বা ২০ এপ্রিল পৌঁছাবে। এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ এবং নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবে, নাকি তারা ফিরে আসবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুনঃ আমেরিকার আবিষ্কারক কলম্বাস ছিলেন বর্ণবাদী-অত্যাচারী!

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, মালিকরা গতকাল খুব ভালো একটি কথা বলেছে, গতকাল আমি শুনেছি তারা যদি চায় বাংলাদেশে ফিরে আসবে তাদেরকে বিমানযোগে বাংলাদেশে আনা হবে। সেখানে তাদের রিপ্লেস যারা হবে, সেটা নিয়েও হয়তো তারা কাজ করছেন।

ঈদের দিন সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহতের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌপথে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেটা সদরঘাট হোক, ভোলা, চাঁদপুর, বরিশাল কিংবা মাঝ নদীর যেখানেই হোক না কেন- প্রত্যেকটায় আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিভিন্ন ধরনের পানিশমেন্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, ঈদের দিন আমরা উৎসবমুখর মুডে ছিলাম। সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। আপনারা জানেন জাহাজের সঙ্গে যুক্ত অনেকে কিন্তু পালিয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। একটা মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এই জায়গাটায় খুবই শক্ত আছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে এখানে যদি আমাদের সার্ভেয়ারদের কোনো দুর্বলতা থাকে। সেটাও কিন্তু শাস্তির আওতায় আনা হবে।

সদরঘাটে ভিড়ে জায়গা না থাকার পরও অনেক লঞ্চ গতি ও শক্তি নিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে। সারা বছরই এই প্র্যাকটিসটা হয়। এটার বিষয়ে আপনারা দৃষ্টি দিবেন কিনা- জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা সব লঞ্চ করে, ব্যাপারটা তা নয়। বিশেষ বিশেষ কিছু লঞ্চ করে, শক্তিশালী কোনো মালিক থাকলে এটা করে। আমরা সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

তিনি বলেন, মনে করেন এটার সঙ্গে মন্ত্রী বাহাদুর বা অন্য কেউ যুক্ত আছেন, তখন তার সঙ্গে স্টাফরা এই ধরনের আচরণ করেন। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।