রেস্তোরাঁর আদব-কেতা


রেস্তোরাঁর আদব-কেতা


চাকরির সাক্ষাৎকারে, স্কুলে অথবা নতুন বন্ধুদের সামনে আদব-কায়দা নিয়ে আমরা সচেতন থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে নিজেদের আচরণের ব্যাপারে উদাসীন থাকি। তবে আপনার রুচিবোধ সঠিকভাবে প্রকাশ করতে রেস্তোরার আদব-কায়দার বিকল্প নেই। আর তাই আজ এমনই কিছু রেস্তোরাঁর আদব-কেতা সম্পর্কে জেনে নেব। যখন থেকে আপনি ন্যাপকিন খুলবেন, তখন থেকেই খাওয়ার পালা শুরু। খাওয়ার টেবিল মোবাইল, ল্যাপটপসহ সব রকম প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন করুন। ঝাঁকি দিয়ে না খুলে আস্তে করে ন্যাপকিনটি খুলতে হবে। খাওয়ার সময় সেটি আপনার কোলের ওপর থাকবে। নিজের ন্যাপকিন এ সময় ব্যবহার না করাই ভালো। খাওয়ার সময় ছুরি ও কাঁটাচামচ ধরার সময় হাতলগুলো নিজের হাতের তালু বরাবর রাখার চেষ্টা করবেন। খাবার প্লেটে তুলে নেয়ার সময় অল্প পরিমাণে নিন। প্রয়োজন বুঝে বারবার নিন। ওয়েটার যদি খাবার সবার প্লেটে তুলে দেয়, তাহলে অপেক্ষা করুন তা প্রত্যেকের প্লেটে পৌঁছানো পর্যন্ত। এরপর একসঙ্গে সবাই চামচ ধরলেই খাবার খাওয়া শুরু করতে পারেন। নিজের চামচ নিয়ে মেইন ডিশ থেকে খাবার তুলবেন না। কোনো খাবার প্লেটে তুলে নেয়ার সময় অল্প পরিমাণে নিন। প্রয়োজন বুঝে বারবার নিন। একবারে ডেজার্ট খাওয়ার জন্য চামচ ও কাঁটাচামচই ব্যবহার করা উচিত। আর পেস্ট্রি বা কেকজাতীয় খাবারের ক্ষেত্রে শুধু কাঁটাচামচ ব্যবহার করলেই চলে। খাবার থেকে কাঁটা, হাড়, মসলা, অতিরিক্ত সালাদ ইত্যাদি সরিয়ে রাখার জন্য আলাদা প্লেট চেয়ে নিন, টেবিলে ফেলবেন না। খাওয়া শেষে ন্যাপকিনটি খাবার টেবিলেই রেখে আসুন। খাওয়া হয়ে গেলে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রেস্টুরেন্টের স্টাফদের ধন্যবাদ জানিয়ে বের হন। কাশি, হাঁচি খাওয়ার সময় আসতেই পারে। অবশ্যই মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেবেন। এ সময় মুখে হাত বা রুমাল দেওয়াটাও বাধ্যতামূলক। নিজেকে দিয়েই চিন্তা করতে পারেন। পাশে বসা মানুষটি যদি খাবার টেবিলের দিকে মুখ করে হাঁচি দেন, সেই খাবার কি আপনি খাবেন? দাঁতে খাওয়া আটকে গেলে খাবার টেবিলে বসে সেটা বের করার জন্য খোঁচাখুঁচি না করাই ভালো। খাওয়া শেষে বাথরুমে গিয়ে খাবার বের করুন।