চাহিদা বৃদ্ধির জেরে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও কয়েকদিনে বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে গতকাল কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা তুলনামূলক মোটা মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৭২-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়। ১০ দিন আগেও পণ্যটির দাম ছিল কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা। মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে এ ডালের চাহিদা বেশি।
তুলনামূলক চিকন মসুর ডাল কেজিপ্রতি ১১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা। চিকন মুগ ডালের দাম ২০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ১৪৫ টাকায় উঠেছে। মোটা মুগ ডাল কেজিপ্রতি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। এদিন ডাবলি ডাল (মটর ডাল) কেজিপ্রতি ৬ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ৩৮-৪০ টাকায়। ছোলা বিক্রি হয় মণপ্রতি ২ হাজার ৩৫০ টাকায়। দাম বেড়েছে মণে ২০০ টাকা।
রোজার আগে দেশীয় আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বাড়তি চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের ডালের আমদানি ও মজুদ বাড়িয়ে রাখেন। এবারো তাই করা হয়েছে। এর মধ্যে শুরু হয়েছে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ঘরবন্দি মানুষ বেশি পরিমাণে ডাল কিনেছেন। ত্রাণের জন্য বাড়তি ডাল কেনা হয়েছে। তাই চাহিদায় আকস্মিক ঊর্ধ্বগতি চাঙ্গা করেছে পণ্যটির দাম। তবে পর্যাপ্ত আমদানি ও মজুদ সত্ত্বেও দাম বেড়ে যাওয়াকে ‘ইচ্ছাকৃত’ বলছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।