লকডাউনের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে সাতনায় নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন এক শ্রমিক দম্পতি। পথেই সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। তাতে অবশ্য হাঁটায় ছেদ পড়েনি। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ফের হাঁটতে শুরু করেন দুজনে।
ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের সাতনায়। খবর পেয়ে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে সাতনা প্রশাসন।
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ধুলের মাঝে একটি গ্রামে থামেন ওই দম্পতি। রাস্তার ধারেই চতুর্থ সন্তানের জন্ম দেন শকুন্তলা। তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন দলের অন্য সদস্যরাও।
জানা যায়, মহারাষ্ট্রের নাসিকে শ্রমিকের কাজ করতেন উচেহারার ওই দম্পতি। সেই সময়েই সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন শকুন্তলা। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে তারা বাড়ি ফেরার সুবিধাজনক কোনো পথ খুঁজে পাননি।
ওই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই অন্তত হাজার কিলোমিটার রাস্তা হেঁটেই পাড়ি দেওয়ার ঝুঁকি নেন তিনি। অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে দল বেঁধে সাতনার উদ্দেশে হাঁটা শুরু করেন তারা। সঙ্গে ছিল তাদের তিন সন্তানও।
শকুন্তলার স্বামী রাকেশ বলেন, ‘এক শিখ দম্পতি জামাকাপড় ও অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমাদের দেন।’
এরপরও তাদের হাঁটায় ছেদ পড়েনি। রাকেশ বলেন, ‘এরপর আমরা ঘণ্টা দুয়েক বিশ্রাম নিয়েছিলাম। তারপর অন্তত ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিই।’
শকুন্তলা ও সদ্যোজাতকে পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। সাতনা ব্লক মেডিকেল অফিসার এ কে রায় বলেন, ‘আমরা জানতে পারি প্রশাসন তাদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে। তারা গ্রামে পৌঁছতেই চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। মা ও সদ্যোজাতকে পরীক্ষা করা হয়েছে। দুজনেই সুস্থ রয়েছেন।’