ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চোরাগলি পথে ক্ষমতায় যেতে বিএনপি দেশে আবারও ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও নির্বাচনে জিতবে বলে আশ্বস্ত হতে পারছে না। তাই তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চোরাই পথে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে।
আজ শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সহযোগী ও ঢাকার মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে যৌথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা ওয়ান ইলেভেন হয়েছে, আরেকটা ওয়ান ইলেভেন বা ১/১১-এর পুনরাবৃত্তি করে বেনিফিশিয়ারি হবে। এই লক্ষ্যে তারা অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে।’
শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনে দেশের মানুষ খুশি, আর বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনেও জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেটা তারা জানে। তাই তারা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্ট করতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে হটাবে। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। এর মধ্য দিয়ে তারা সরকার পতনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশে দলীয় নেতা-কর্মীরা নিজেদের প্রস্তুত রাখবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় রয়েছি তাই এই দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের দেখতে হবে। আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে তারা (বিএনপি) জনজীবনে দুর্ভোগ ডেকে আনবে, রাস্তা অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা ডেকে আনবে—এই অবস্থায় আমরা চুপ থাকতে পারি না।
আরও পড়ুনঃ
‘আমরা ওয়াদা দিয়ে জনগণের ভোট নিয়েছি। তাঁদের কাছে আমাদের দায় রয়েছে।’
আন্দোলনের নামে সহিংসতা-নাশকতা হলে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। সে জন্যই আমরা আজকে এই সভা ডেকেছি। তারা যত কথাই বলুক, আমরা আমাদের অবস্থানে সতর্ক আছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আরও সতর্ক থাকব, আমাদের নেতা-কর্মীদের আরও সুদৃঢ় করতে হবে। আরও শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। যেকোনো ধরনের নাশকতা করে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করতে চাইলে প্রতিরোধ করা হবে, প্রতিহত করা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী পদমর্যাদার সদস্য বাংলাদেশে আসার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যিনি দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি আসতেই পারেন, সফর বিনিময় হতেই পারে। এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়, এটা নিয়ে নতুন করে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।’
কাদের বলেন, ‘তিনি আসছেন, তিনি মন্ত্রীদের সঙ্গে, বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। এখানে আমাদের পার্টির কোনো বিষয় না। আসছেন উভয়ের কথা বলুক, শুনি কী বলে। প্রয়োজন হলে ভেবে দেখব।’
যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সুবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ নেতারা।