আবারও বিপদসীমার উপরে তিস্তার পানি


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24


ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আবারও তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তার নিম্নাঞ্চলগুলো আবারও নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুর ১২টায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে পানি কমে আসলেও আজ বুধবার দুপুর ৩টার দিকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে, ধরলার পানি শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবৃদ্ধির ফলে সদর উপজেলার মোগলহাট, কুলাঘাট, তিস্তা, গোকুন্ডা, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচাসহ তিস্তাপাড়ের লোকজন আবারও বন্যার আশঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
এর ৭ দিন আগে বন্যার পর তৃতীয় দফায় আবারও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। তিস্তার চর এলাকার লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তায় নতুন করে আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী পাড়ের মানুষ। গত সপ্তাহে ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তখন প্রায় এক লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই পানি বাড়লে সন্ধ্যার দিকে তা কমে আসে। বুধবার সকাল থেকে আবারো পানি বাড়তে শুরু করায় নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়িতে পানি উঠে গেছে।

তিনি আরও বলেন, পানিবন্দি ও ভাঙনের শিকার ৬০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারসহ চাল, ডাল, আলু, তেল, লবনসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র দোয়ানী ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি সকাল থেকে বৃদ্ধি পাওয়ায় চর ও উপকূল এলাকার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।