তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থাপত্য নির্দশন আয়া সোফিয়া কখনও জাদুঘর,কখনও ক্যাথলিক গির্জা আবার কখনও মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে সম্প্রতি তুরস্কের আদালতের দেয়া রায়ে এটি এখন থেকে মসজিদ হিসেবেই ব্যবহার হবে। মসজিদটির জন্য ইতিমধ্যে ২ জন ইমাম ও ৪ জন মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অমুসলিম বিশ্বের ব্যাপক সমালোচনা সত্ত্বেও তুরস্কের ঐতিহাসিক ‘আয়া সোফিয়া’ জাদুঘরকে মসজিদ বানানোর সিদ্ধান্তে অটল দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোয়ান। এ সিদ্ধান্তকে তিনি তুরস্কের ‘সার্বভৌম অধিকারের ব্যবহার’ বলে উল্লেখ করেছেন।
গত শনিবার এক ভিডিও কনফারেন্সে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যারা নিজ দেশে ইসলামোফোবিয়ার (মুসলিমদের ওপর ঘৃণা) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় না… তারা তুরস্কের সার্বভৌম অধিকার ব্যবহারের ইচ্ছার ওপর আক্রমণ করছে।’
তুরস্কের ধর্মবিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান অধ্যাপক ড. আলি আরাবাশ ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া মসজিদে ইমাম ও মুআজ্জিন নিয়োগ দেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২৪ জুলাই শুক্রবার জুমআর নামাজের মাধ্যমে আয়া সোফিয়া নামাজ শুরু হবে।