রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজির পর এবার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অভিযানে অসহযোগিতা করায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ও ইনভেন্টরি অফিসার শাহজির কবির সাদিকে আটক করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই র্যাপিড কিট দিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে আসছিল গুলশান-২ এ অবস্থিত এই হাসপাতালটি।
অভিযোগ রয়েছে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করেও নিত হাসপাতালটি।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলের্ যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে এই হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল হাসপাতালটিকে। কিন্তু তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় অনুমোদন বাতিল করা হয়। এরপরও তারা কোভিড-১৯ পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা বাইরের রোগীদেরও টেস্ট করেছে। এ টেস্টগুলো অননুমোদিত ডিভাইসের মাধ্যমে করেছে। যে রিপোর্ট দিয়েছে তা সবই ভুয়া।
শুধু তাই নয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু পরীক্ষা বাইরের হাসপাতাল থেকে করে তা নিজেদের হাসপাতালের প্যাডে লিখে দিত। এছাড়াও মাস্কসহ পিপিই যেগুলো একবার ব্যবহার করার কথা সেগুলো একাধিকবার ব্যবহার করছে।
এদিকে হাসপাতালের ওপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ পাঁচটি সার্জিক্যাল সামগ্রী (এনডোট্রাসিয়াল টিউব) উদ্ধার করা হয়। পরে এসব সার্জিক্যাল সামগ্রী যাচাই করে দেখা যায়, এগুলোর কোনোটির মেয়াদ ২০০৯ সালে আবার কোনোটির মেয়াদ ২০১১ সালে শেষ হয়েছে। হাসপাতালটির বাকি চারটি অপারেশন থিয়েটার তালা মারা।
অভিযানে উপস্থিত ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এসব সার্জিক্যাল সামগ্রী অপারেশন করার সময় রোগীর গলার ভেতর ঢোকানো হয়। তবে এই সামগ্রীগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ‘রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে।