দেশে করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম পর্যায়ে ঘরে থাকার নির্দেশের (লকডাউন) কারণে ৪৭ শতাংশ পরিবারের আয় আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গিয়েছিল বলে আইসিডিডিআরবির এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে ই-মেইলে ওই গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে আইসিডিডিআরবি।
এতে বলা হয়, আইসিডিডিআরবির একটি গবেষকদল এবং অস্ট্রেলিয়া ওয়াল্টার এলিজা হল ইনস্টিটিউট যৌথভাবে বাংলাদেশের গ্রামীণ নারী ও তাঁদের পরিবারের ওপর কভিড-১৯ বৈশ্বিক অতিমারি এবং এর কারণে আরোপিত ঘরে থাকার নির্দেশের প্রভাব দেখেছে।
ওই সময় নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো, বিশেষত নারীরা অর্থনৈতিক দুরবস্থা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এতে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়েছে বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মার্চের শেষ দিক থেকে মে পর্যন্ত প্রায় দুই মাসের ঘরে থাকার নির্দেশের কারণে ৯৬ শতাংশ পরিবারের গড় মাসিক উপার্জন কমেছে এবং ৯১ শতাংশ নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল মনে করেছে।
এ ক্ষেত্রে ৪৭ শতাংশ পরিবারের আয় আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নিচে (১৬০ টাকা অথবা ১ দশমিক ৯০ ইউএস ডলার/প্রতিজন/প্রতিদিন) নেমে গিয়েছিল। এ ছাড়া পরিবারগুলোর ৭০ শতাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং ১৫ শতাংশ খাদ্যসংকট, অভুক্ত অবস্থায় অথবা কোনো এক বেলা আহার না করে ছিল।
গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর লকডাউনের বিশেষ প্রভাব দেখা গেছে। নারীদের মধ্যে হতাশা বেড়েছে এবং ৬৮ শতাংশ নারীর মধ্যে যাঁরা স্বামী ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর মাধ্যমে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতেন, তাঁদের অর্ধেকের বেশি বলেছেন, লকডাউনের সময় থেকে নির্যাতন বেড়েছে।