চলতি মাসে দেশেই শুরু হচ্ছে ‘রেমডেসিভির’ উৎপাদন


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24, prosenjit bangla movie, jeeter bangla movie, songsar bangla movie, bengali full movie, bengali movies 2019, messi vs ronaldo, lionel messi stats, messi goals, messi net worth, messi height
Remdesivir antiviral drug with pills and Syringe as background - concept of covd-19 or coronavirus new possible antiviral drug medication

করোনা মোকাবেলায় দেশের অন্যতম বৃহত্তম ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এই মাসেই পরীক্ষামূলক অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভিরের উৎপাদন শুরু করবে।

করোনা নিরাময়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দারুণ কাজ করছে এই ওষুধ। ইতোমধ্যে এর অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাপানেও অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মঙ্গলবার বেক্সিমকোর এক সিনিয়র নির্বাহী জানিয়েছেন, চলতি মে মাস থেকেই করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক ওষুধ রেমডেসিভির উৎপাদন শুরু করছে বাংলাদেশের অন্যতম বড় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো।

২৯ এপ্রিল হোয়াইট হাউসে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রেমডেসিভিরের কার্যকারিতার ‘সুস্পষ্ট প্রমাণ’ পাওয়ার কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ’-এর পরিচালক এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি। একদিন পর ১ মে সে দেশের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এফডিএ রেমডেসিভিরকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানায়, দেশের ছয়টি ওষুধ কোম্পানিকে করোনাভাইরাস এর জন্য রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওই ৬ কোম্পানির একটি হলো বেক্সিমকো।

বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা জানিয়েছেন, তাদের রেমডেসিভির ইনজেকশন হিসেবে শিরায় প্রবেশ করানোর জন্য তৈরি হচ্ছে। একজন রোগীর জন্য ৫ থেকে ১১ বোতল পরিমাণ ওষুধ গ্রহণ করতে হতে পারে। প্রতি বোতল ওষুধের দাম হতে পারে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।

ওষুধের উৎপাদন খরচের একাংশ বাংলাদেশ সরকার পরিশোধ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। জানান, কেবলমাত্র দেশে ব্যবহারের জন্য এই মাসেই ওষুধটির উৎপাদন শুরু হবে।

চীনে রেমডেসিভিরের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়। চীনের পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয় আমেরিকাতেও। মার্কিন এপিডোমলজিস্ট অ্যান্থনি ফাউচি দাবি করেন, যে সব করোনা-রোগীকে রেমডেসিভির দেওয়া হয়েছে, তারা অন্যদের থেকে ৩০ শতাংশ দ্রুত সুস্থ হয়েছেন। ফাউচির এই দাবি থেকেই করোনা-যুদ্ধে নতুন করে আশার আলো দেখেতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।