করোনার প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে দোরগোড়ায় এসে হাজির মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা।
ঈদুল আজহায় সামর্থবান কিংবা নিসাব পরিমান সম্পদের মালিকরা পশু কুরবানি করে থাকেন। আর তা সম্পদশালীদের জন্য ওয়াজিব বা আবশ্যক কাজ।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই কিংবা ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে এ ঈদ।
এদিকে বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে পশু কুরবানি না করে এ অর্থ গরিব-অসহায়দের মাঝে দান করার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ সম্পর্কে দেশ-বিদেশের অনেক ইসলামিক স্কলার তাদের মতামত সুস্পষ্ট করেছেন।
এ নিয়ে মতামত জানিয়েছে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ। দেওবন্দের অনলাইন ফতোয়া সাইট এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
দারুল উলুম দেওবন্দ তাদের অনলাইন ফতোয়া সাইটে কুরবানির পশু জবাই না করে সে অর্থ অন্যদের মাঝে বিতরণ সম্পর্কে জানিয়েছে যে,-
‘পশু কুরবানির বিকল্প নেই ৷ কুরবানি না করে তার অর্থ দান করা যাবে না।’
তবে কেউ যদি কুরবানির জন্য নির্ধারিত দিনে কোনো কারণে কুরবানি আদায় করতে সক্ষম না হয় তবে কুরবানির সমপরিমাণ অর্থ গরিব-অসহায়দের মাঝে বিতরণ করতে হবে বলেও জানিয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ।
তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কুরবানি বিধান পালন করতে হবে। কুরবানি পরবর্তী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেছে দারুল উলুম দেওবন্দ।