ফিলিস্তিনে ইসরাইলের ভারী বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় গাজা উপত্যকায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আজ বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ এ তথ্য জানিয়েছে
সংস্থাটি বলেছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার দিনের শেষ নাগাদ গাজায় বাস্তুচ্যুতি মানুষের সংখ্যা ২৪ ঘন্টা আগে প্রদত্ত পরিসংখ্যান থেকে আরো ৭৫ হাজার বেড়ে এই সংখ্যা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ জনে পৌঁছেছে।
শনিবার ফিলিস্তিনি হামাস যোদ্ধাদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল ২৩ লাখ লোকের ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে এই মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে।
ইসরাইলি বাহিনী বলেছে, হামাসের হামলায় ১,২০০ ইসরাইলির মৃত্যু হয়েছে, দেশটির ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
গাজায় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইলের বিমান ও কামান হামলার অব্যাহত অভিযানে এক হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সরকার সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করতে প্রস্তুত
ওসিএইচএ জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের দুই-তৃতীয়াংশ প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের সমর্থনকারী জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় চেয়েছে।
আরও প্রায় ১৫ হাজার লোক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পরিচালিত স্কুলে পালিয়ে গেছে, যখন ১ লাখের বেশি গাজা শহরের আত্মীয়, প্রতিবেশী এবং একটি গির্জা এবং অন্যান্য সুবিধার দ্বারা আশ্রয় নিচ্ছে।
ওসিএইচএ জানিয়েছে, শনিবারের হামলার আগে ছিটমহলের প্রায় ৩,০০০ মানুষ ইতোমধ্যে মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ওসিএইচএ গাজার গণপূর্ত ও আবাসন মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা উদ্ধৃত করে বলেছে, বোমা হামলা গাজায় কমপক্ষে ২,৫৪০টি আবাসন ইউনিট ধ্বংস করেছে বা বসবাসের অযোগ্য করে দিয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, আরও ২২ হাজার ৮৫০টি আবাসন ইউনিট মাঝারি থেকে ছোটখাটো ক্ষতি হয়েছে।