পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে স্পষ্টত বিএনপি ও তাদের দোসরদের কালো হাত আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উসকানি আর গুজব সৃষ্টি করে বিএনপি নিরীহ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করছে। কোথায় ছিল শ্রমিকদের বেতন ৮০০ টাকা। আর সেই বেতন এখন ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এখন দেশের অবস্থাও বুঝতে হবে।
আজ শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৃহষ্পতিবার পরিষ্কার করে সেটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে বিজিএমই-এর দু’একজন নেতাও ছিলেন। তারা শুনেছেন। এ ব্যাপারে বেশিরভাগ সমাধান হয়ে গেছে। তবে কোনাবাড়ি ও আশুলিয়া, এই দুইটা জায়গায় কিছু সমস্যা আছে। আমরা মনে করি, আমাদের শ্রমিকরা বর্তমান বাস্তবতার বিষয়গুলো উপলব্ধি করে সমাধানে এগিয়ে আসবেন।
আরও পড়ুনঃ বাবা মায়ের ভুলের কারণেই শিশুদের আত্মবিশ্বাস কমে
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদলের আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিরোধ করতে হবে এবং নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে ভিন্নমতের প্রতিকূল ¯্রােতের সাথে লড়াই করে যাচ্ছি আমরা।
তিনি বলেন, আজকে বিভিন্নভাবে সরকার বিরোধী চক্রান্ত চলছে, দেশে বিদেশে সরকার বিরোধী তৎপরতা চলছে। ২৮ তারিখে তাদের আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবষিত- এটা বলা যায়। এখন স্বাভাবিক আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর তারা অস্বাভাবিক পথে চলতে শুরু করেছে। তাদের পুরনো রাজনীতির অভ্যাস অগ্নিসন্ত্রাসের উপাদান যুক্ত করেছে। এসব করে তারা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য সবশেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে পারছে না, চোরাগোপ্তা হামলা করছে।
আওয়ামী লীগ নাশকতা বিরোধী দল উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এমন অবস্থায় রাজপথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। দ্রুতই তফসিল হয়ে যাবে। এখন দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হাতে আছে। একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি, আরেকটি কাজ হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করা এবং নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা।