চীন থেকে ৮৭ টি কোম্পানি সরিয়ে নিচ্ছে জাপান


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24


নিজেদের পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখার কৌশল হিসেবে এবং একক দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে বেশকিছু উৎপাদনশীল কারখানা চীন থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান।

জাপানি কারখানাগুলোকে চীন থেকে সরিয়ে দেশে কিংবা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্থানান্তরিত করা হবে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এরই মধ্যে কারখানা স্থানান্তরে সহায়তা করতে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৮ হাজার ৭শ’ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।

শুক্রবার জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, বেসরকারি ফেস মাস্ক প্রস্তুতকারী আইরিস ওহাইয়ামা ও শার্প করপোরেশনসহ মোট ৫৭টি কোম্পানি তাদের কারখানাগুলো জাপানে স্থানান্তরে জন্য সরকারিভাবে ৫৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইয়েন (৫৩৬ মিলিয়ন ডলার) ভর্তুকি পাবে।

এছাড়া মন্ত্রণালয়ের পৃথক এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, চীন থেকে ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কারখানা সরিয়ে নেওয়ার জন্য আরও ৩০টি কোম্পানিকে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দেওয়া হবে। তবে এসব কোম্পানিকে কি পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তা জানানো হয়নি।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) জানিয়েছে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫৭টির কারখানা জাপানে আর ৩০টি চীন ছেড়ে অন্য দেশে যাচ্ছে। জেট্রোর তালিকা অনুযায়ী, ১৫টি ভিয়েতনাম, ৬টি থাইল্যান্ড, ৪টি মালয়েশিয়া, ৩টি ফিলিপাইন, ২টি লাওস, ১টি ইন্দোনেশিয়া এবং ১টি মিয়ানমার যাচ্ছে।

জাপান সরকার এই ৮৭ কোম্পানিকে যে ভর্তুকি দিচ্ছে তা বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কারখানা স্থানান্তর করে দেশে কিংবা অন্য দেশে স্থাপনের জন্য যে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে দেশটির সরকার তা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে। দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলার জন্য চীন থেকে কারখানাগুলো স্থানান্তরের আলোচনা জোরালো হয়েছে।

জাপানের এই পদক্ষেপ ২০১৯ সালে চীন থেকে তাইওয়ানের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে আনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

স্বাভাবিক অবস্থায় চীন হলো জাপানের বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। এছাড়া চীনে জাপানি কোম্পানিগুলোর ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশ দুটির মধ্যে এসব অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।