(চতুর্থ পর্বের পর)
হাইওয়ের পথ ধরে ছুটছে গাড়ি। আনোয়ার ভাই একবার তাকিয়ে দেখল ছেলে মেয়েগুলো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আবার গাড়ি চালানোতে মন দিল সে। রাত পেরিয়ে ভোর হতে চলল। রাতের অন্ধকার ধীরে ধীরে অদৃশ্য হচ্ছে সূর্যের মায়াবী আলোয়। নীরব থাকা প্রকৃতি হঠাৎই সরব হতে চলেছে। পাখিদের কলকাকলি শোনা যাচ্ছে। দূরের দিগন্তে সূর্য যেন মুচকি হেসে উঁকি দিচ্ছে।
দিনের প্রথম আলো চোখে লাগতেই সাদের ঘুমটা ভেঙে গেল। তার ঘুম এমনিতেই পাতলা। কোনো শব্দ বা আলোতে খুব সহজেই ঘুম ভেঙে যায়। উঠে আড়মোড়া ভেঙে সামনের দিকে তাকালো। দিগন্তে সূর্যোদয় দেখে অভিভূত হলো প্রকৃতিপ্রেমী সাদ। কি অপরূপ দৃশ্য। আজকের দিনে না হলে এমন দিনটা দেখা হতো না।
‘ভাইয়া,’ আনোয়ার ভাইকে বলল। ‘গাড়িটা একটু থামানো যায়?’ কোনো প্রশ্ন না করে রাস্তার পাশে থামালো গাড়ি। সাদ বন্ধুদের ডেকে তুলল। এই দৃশ্য তাদের না দেখালে অবিচার করা হবে।
‘কি হয়েছে?’ প্রশ্ন করল নিলয়। ‘আমরা কি চলে এসেছি?’
‘সামনে দেখ।’ জবাব না দিয়ে বলল সাদ।
ঘুমের চোখ ডলতে ডলতে তাকালো সবাই। দেখেই মুগ্ধ হলো প্রত্যেকে। প্রকৃতির এত সুন্দর রূপ! সানজিদার কথায় গাড়ি থেকে নামল সবাই। অদ্ভুত ভালো লাগায় ছেয়ে গেছে সবার মন। আজ বুঝতে পারছে প্রকৃতির এই রূপ অন্য যে কোনো কিছুর থেকে অনবদ্য। এ জন্য সাদকে ধন্যবাদ দিতেই হয়।
প্রত্যেকেই রাত জাগা পাখি। রাতে দেরি করে ঘুমায়, সকালে উঠতেও দেরি হয়। তাই কখনো সূর্যোদয় দেখা হয়নি কারো। এই প্রথম তাতেই মুগ্ধ সবাই। পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ যেন মধুর হয়ে কানে বাজছে। ভোরের প্রশান্তি ছড়িয়ে, বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নেওয়ার মতো ভালো লাগা আর কিছুতেই হয়ত পাওয়া যায় না। অদ্ভুত ভালো লাগায় মনটা ভরে ওঠে।
‘অনেক হয়েছে। এবার তাড়াতাড়ি গাড়িতে ওঠো তোমরা।’ তাগাদা দিল আনোয়ার ভাই। ‘নাহলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাবে।
গাড়িতে উঠল সবাই। আবার যাত্রা শুরু। সকালের আলো ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। রাতের আলো মিলিয়ে গেছে পুরোপুরি। ঘড়িতে সকাল সাতটা বাজে এখন।
‘আমরা শহরের রাস্তায় প্রবেশ করছি।’ ঘোষণা দিল আনোয়ার ভাই। শহর বললেও কিছুটা ভুল হবে। তার থেকে উন্নতমানের গ্রাম বলাই শ্রেয়।
‘কতক্ষন লাগবে?’ প্রশ্ন করল অমি।
‘আরো ঘন্টাখানেক।’ জবাব দিল আনোয়ার ভাই।
সকালের কর্মব্যস্ততা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। যে যার কাজে বেরিয়েছে। ব্যস্ততা চারিদিক। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা হাতে বই, কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। কেউ কেউ কৌতূহল চোখে তাদের দিকে তাকাচ্ছে। বড় গাড়ি বোধহয় এখানে খুব একটা আসে না।
রাস্তার অবস্থা ভালো না। মাটির রাস্তা, জায়গায় জায়গায় খানাখন্দে ভরা। লাফিয়ে লাফিয়ে চলছে গাড়ি। সেই সাথে আরোহীরাও লাফাচ্ছে। কখনো কখনো গাড়ির ছাদে বাড়ি খাচ্ছে মাথা।
‘উফ,’ মন্তব্য করল সানজিদা। ‘কোমরের হাড়গোড় সব ভেঙে গেল।’
‘এটা রাস্তা, না নরকে যাওয়ার পথ?’ বলল নিলয়।
‘এই ঝাঁকুনিতেই তো ক্ষুধা লেগে গেল।’ বলল রিফাত। সবাই তাকালো ওর দিকে। এমন অবস্থায়ও খাওয়ার কথা ভুলে না। তবে ভুল কিছু বলেনি ফাহিম। কম বেশি ক্ষুধা যে লেগেছে, টের পেল সবাই।
‘আনোয়ার ভাই, একটা হোটেলের সামনে গাড়ি থামিয়েন।’ বলল ঐশী। ‘ব্রেকফাস্ট করে তারপর আবার রওনা দিব।’ মাথা ঝাঁকালো আনোয়ার ভাই।
একটা মোটামুটি ভালো দেখে হোটেলের সনে গাড়ি থামানো হলো। সকালের নাস্তা খেয়ে আবার রওনা দিল সবাই। গ্রামের পথে ঢুকছে গাড়ি। রাস্তার অবস্থা আরো বেগতিক হয়ে উঠছে।
‘ওই যে, আমাদের বাড়ি।’ আঙ্গুল তুলে সামনের এক বিশাল রাজপ্রাসাদ দেখালো অমি। রাজপ্রাসাদই বটে। এই অজপাড়াগাঁয়ে এত বড় বাড়ি ভাবনাতেও আসে না। অমি জানিয়েছে, ওর পূর্বপুরুষ এককালে এই অঞ্চলের জমিদার ছিল। নাম-ডাক ছিল বেশ। জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে অনেক আগেই, তারপর থেকে পরিচিতি কমেছে অমিদের পরিবারের। একেবারেই নির্মূল হয়ে গেছে তাদের পরিচয়, সেটা ভাবাও অনুচিত। এখনও তাদের সমাদর করে চলে এই অঞ্চলের অনুষজন।
সে সময় বিশাল জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছিল এ এলাকার সব থেকে বড় এই রাজপ্রাসাদের মত বাড়ি। জমিদারী প্রথার সাথে সেই রাজপ্রাসাদের মত বাড়িটিও বিলুপ্ত প্রায়। এখন সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে আধুনিক আমলের বাংলো মত রাজপ্রাসাদ। অমির বাবা পুরাতন বাড়িটা ভেঙে নতুনরূপে তৈরি করেছে এ বাংলো। সামনে একটি বাগানও আছে। বাড়িটি দেখাশোনা করার জন্য একজন কেয়ারটেকার আছে, দুইজন কাজের লোক আছে সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য। একজন মালি সর্বদা বাগানের পরিচর্যা করে। এই সবকিছুই জানিয়েছে অমি। অমি আরো জানিয়েছে, ব্যবসার কাজে যখন ক্লান্ত লাগে তখন এখানে এসে বিশ্রাম নেন অমির বাবা। উনার মতে এর থেকে ভালো বিশ্রাম নেওয়ার স্থান আর হয় না।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন তিনি। এমন নির্জন জায়গা বিশ্রামের জন্য আদর্শ। চিন্তাহীনভাবে সময় কাটানোর জন্য এর থেকে ভালো জায়গা হয়ত খুঁজলেও আর পাওয়া যাবে না। ছোটবেলায় প্রায়ই আসলেও এখন আর এদিকে আসতে চায় না অমি। প্রায় অনেক বছর পর আজ এসেছে বন্ধুদের নিয়ে।
বিশাল গেটের সামনে থামানো হলো গাড়ি। হর্ন বাজালো আনোয়ার ভাই। কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কি ব্যাপার? লোকজন কোথায়? আবার হর্ন বাজালো। দূর থেকে দৌড়ে আসতে দেখা যাচ্ছে বৃদ্ধমতন একজনকে। ইনিই বাড়ির দেখাশোনা করেন। অমি জানালো, তার নাম মতিন চাচা। অমি সে নামেই ডাকে। গেট খুলল সে। ভিতরে যে বাগান রয়েছে, তার মাঝখানে তৈরি সরু এক রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে বাড়ির সামনে রাখল আনোয়ার ভাই। নামল সবাই। কাল থেকে গাড়ির ভিতর বসে থাকতে থাকতে মনে হয় কোমরের হাড়গুলোতে মনে হয় জং ধরে গিয়েছে। আর যে রাস্তা পেরিয়ে এসেছে কিছুক্ষন আগে তাতে এক আধটা হাড় ভেঙে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আড়মোড়া ভেঙে, হাত পা নাড়িয়ে দেখে নিচ্ছে সবাই কিছু ভাঙলো কিনা।
‘কেমন আছ, মামুনি? অমিকে জিজ্ঞেস করল মতিন চাচা।
‘এইতো চাচা, ভালো আছি।’ জবাব দিল অমি। ‘তোমরা ভালো তো?
মাথা নেড়ে হ্যাসূচক জবাব দিল মতিন চাচা। তারপর জিজ্ঞেস করল ‘ওনারা বুঝি তোমার বন্ধু?’
‘জ্বী চাচা। তোমাকে যে বলেছিলাম ঘর রেডি রাখতে, সব রেডি তো?’
‘হ্যা মামুনি।’ জবাব দিল মতিন চাচা। ‘সব রেডি করে রেখেছি। একেবারে ঝকঝকে তকতকে।
সবাই যে যার ব্যাগ কাঁধে তুলে নিয়েছে। বাঁধা দিল মতিন চাচা, ‘কি করছ বাবারা? রাখো রাখো। তোমাদের কষ্ট করতে হবে না। আমি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছি। তারপর হাঁক ছাড়ল, ‘আনিস, এই আনিস। এদিকে শুনে যা।’
সবাই বোঝানোর চেষ্টা করল কোনো অসুবিধা নেই। তারা এই সামান্য ব্যাগ নিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু মতিন চাচা কিছুতেই শুনবে না। তারা এ বাড়ির অতিথি। অতিথিদের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব তার। মতিন চাচার এই আন্তরিকতা মন ছুঁয়ে গেছে সবার। সাথে ভালো লেগে গেছে এই অতিথিপরায়ণ বৃদ্ধ মানুষটিকে।
মতিন চাচার ডাক শুনে দৌড়ে আসছে এক কিশোর। এই বোধহয় আনিস। লিকলিকে গড়নের এই যুবকের শরীরে মাংস বলতে কিছু নেই। দেহের ভিতরে দু’শ ছয় খানা হাড়ই যেন বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে। বয়স এই চোদ্দ কি পনেরো। পরনে এক ছেড়া গেঞ্জি, বহুদিনের পুরোনো আর একটি হাফ প্যান্ট।
‘কি চাচা?’ এসেই বলল আনিস। ‘ ডাকো ক্যান?
‘এনারা আমাদের অতিথি,’ পাঁচবন্ধুকে দেখিয়ে বলল মতিন চাচা। ‘কয়েকদিন এখানে থাকবে। খেয়াল রাখবি, যাতে এনাদের কোনো অসুবিধা না হয়। আর সাহেবদের ব্যাগ নিয়ে যে যে ঘর পরিষ্কার করেছি। রেখে দিয়ে আয়।’ ব্যাগগুলো দেখি দিল।
বাধ্য ছেলের মত মাথা নেড়ে ব্যাগগুলো তুলে নিল আনিস। এক সাথে সব ব্যাগ তুলে নিল সে। কোনটা হাতে, কোনটা কাঁধে। এই হ্যাঙলা পাতলা গড়নের ছেলেটার যে এত শক্তি হবে। কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি ওরা।
‘চলো, তোমাদের ঘরগুলো দেখিয়ে দেই।’ বলল মতিন চাচা। চাচার সাথে ভিতরে প্রবেশ করল সবাই। বাড়িটা ডুপ্লেক্স ধরনের। বিশাল এক ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করল তারা। লাল কার্পেট বিছানো পুরো মেঝে জুড়ে। মাঝখানে শোভা পাচ্ছে অনেক দামী সোফা সেট। একপাশের দেয়ালে বত্রিশ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন। এই গ্রামের বাড়িটাকেও আঙ্কেল যেভাবে সাজিয়েছে, খরচের বাহার দেখে অবাক অমির বন্ধুরা।
ড্রয়িংরুম থেকে প্যাঁচানো সিঁড়ি উঠে গেছে উপরের দিকে। ওই ওপরের দুইটি ঘরেই তাদের থাকার জায়গা ঠিক করা হয়েছে। একটিতে থাকবে ছেলেরা, অন্যটিতে মেয়েরা। এসব জানিয়েছে মতিন চাচা। চাচার সাথে করে সিঁড়ি বেয়ে উঠছে ওরা। ওদিকে চাচা গল্প জুড়ে দিয়েছে অমির সাথে।
‘কতদিন পর আসলে, মামুনি।’ বলল চাচা। ‘এবার কিন্তু বেশীদিন থাকা চাই।’
‘জ্বি চাচা,’ বলল অমি। ‘এবার অনেকদিন থাকবো। আর ঘুরে বেড়াবো।’
‘কোনো অসুবিধা নেই। যখন যা দরকার একটিবার শুধু আমাকে বলবে, সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’
অমি মাথা নাড়ল। পাশাপাশি দুইটি ঘরের সামনে এসে দাঁড়াল মতিন চাচা। একটি ঘর দেখিয়ে বলল, ‘বাবারা তোমরা এই ঘরে থাকবে, আর মামুনিদের জন্য ঐটা।’ সাদ-নিলয়দের ঠিক পাশের ঘরটা দেখিয়ে বলল সে। তারপর বলল, ‘তোমরা বিশ্রাম নাও, আমার অনেক কাজ পড়ে আছে।’ বলেই ছুট লাগলো চাচা।
যে যার ঘরে প্রবেশ করল। ছেলেদের ঘরে তিনটি খাট পাশাপাশি রাখা। খুব পরিপাটি করে সাজানো। জানালার পাশে থাকা খাটটি দখল করে নিল সাদ। জানালা দিয়ে বাইরে দেখতে তার অসম্ভব ভালো লাগে। তার পাশের খাটে ধপ করে শুয়ে পড়ল ফাহিম। লম্বা সফর করে এসেছে। ক্লান্ত লাগছে খুব। শেষ খাটে যেয়ে বসল নিলয়। অমি বোধহয় আগে থেকেই বলে রেখেছিল কয়জন আসবে। তাই সবকিছু সাজানো।
‘এখন একটা ঘুম দিতে পারলে সেই হবে,’ বলল নিলয়। কেউ কোনো জবাব দিল না। রিফাত উঠে বসল, ‘তোরা কেউ বাথরুমে যাবি? আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।’
‘যা,’ বলল সাদ। ‘তারপর আমি যাব।’ রিফাত উঠে নিজে ব্যাগ নিতে যাবে, সেখানে বিপত্তি। আনিস আগেই ব্যাগগুলো পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু ভুল করেছে একটু। নিলয় ও সাদের ব্যাগ আনলেও ফাহিমেরটা আনেনি। তার বদলে পাঠিয়ে দিয়েছে অমিরটা।
‘যাহ!’ বলল ফাহিম। ‘আমার ব্যাগটা তো দিয়ে যায়নি আনিস। এটা অমির না?’ সবাই সায় দিল এটা ঐশীরই।
‘ওদের রুমে যেয়ে নক কর।’ বলল সাদ। ‘বল তোর ব্যাগ দিতে। আর এটা অমিকে দিয়ে যায়।’ ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে পড়ছে সাদের। শুয়ে থাকতেই ভালো লাগছে। সারারাত বসে বসে ঘুমাতে হয়েছে। তাও ঠিকমতো ঘুম হয়নি। এখন মনে হচ্ছে এই নরম বিছানায় ঘুমিয়ে পড়া হোক। নিলয়েরও একই অবস্থা। রিফাত অমির ব্যাগ কাঁধে নিয়ে পাশের ঘরের সামনে যেয়ে দরজায় টোকা দিল।
‘কে?’ ভিতর থেকে সানজিদার কন্ঠ ভেসে আসলো।
‘আমি,’ বলল রিফাত ‘দরজা খোলা। আমার ব্যাগ বোধহয় এখানে। আনিস ভুল করেছে।’
অপেক্ষা করছে রিফাত। দরজা খোলার আওয়াজ হলো। অমি দরজা খুলল। হাতে রিফাতর ব্যাগ। ফাহিমেরটা দিয়ে নিজেরটা নিলো। ‘আমি এখনই যেতাম ব্যাগ আনতে।’ বলল অমি। ‘কিন্তু এত ক্লান্ত লাগছে। উঠতেই ইচ্ছা করছে না।’
‘ঠিক বলেছিস। আমাদেরও একই অবস্থা।’
‘আচ্ছা, শোন। ফ্রেশ হয়ে সবাই বাগানে আয়। ঐখানে বসে আড্ডা দিব।’
মাথা ঝাঁকালো রিফাত। ‘ওরা আসবে কিনা জানি না। যে অবস্থা দেখলাম। এখনই বোধহয় ঘুমিয়ে পড়বে।’
‘ওদেরও দোষ দেয়া যায় না। সারারাতের জার্নিতে আমরা সবাই টায়ার্ড।’
‘আচ্ছা আমি যাই।’ বলল রিফাত হাত নেড়ে বিদায় জানালো। দরজাটা বন্ধ করে দিল অমি। এসে সোজা বাথরুমে রিফাত। দেখে এসেছে সাদ ও নিলয় ইতোমধ্যে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে।
চলবে…
পেপারস লাইফ/গল্প/সাকিব আহমেদ
পড়ুন :