দেশের করোনার জিনোম সন্ধানে বিল গেটস-জাকারবার্গের সহায়তা


bdnews24 bangla newspaper, bangladesh news 24, bangla newspaper prothom alo, bd news live, indian bangla newspaper, bd news live today, bbc bangla news, bangla breaking news 24, prosenjit bangla movie, jeeter bangla movie, songsar bangla movie, bengali full movie, bengali movies 2019, messi vs ronaldo, lionel messi stats, messi goals, messi net worth, messi height


বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ে সহায়তা করছে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং চ্যান জুকারবার্গ বায়োহাব ইনিশিয়েটিভ। উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো দেশে একটি মাত্র কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ে হয়েছে।

বিদেশি প্রতিষ্ঠানদুটির সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর এর সহায়তা এ জিনোম সিকুয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে সিএইচআরএফ।

সিএইচআরএফ এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে এই প্রথম নভেল করোনভাইরাস এর জিনোম সিকুয়েন্সিং সম্পন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে নভেল করোনাভাইরাসের তথ্যটি জমা দিয়েছে চাইল্ড হেলথ রিসার্স ফাউন্ডেশান।

নিয়ম অনুযায়ী, ভাইরাসটির জিনোম সিকুয়েন্সিং সম্পন্ন করার পর তার তথ্য উপাত্ত গ্লোবাল জিনোম ডাটাবেজের জমা দিতে হয়। এই জিনোম সিকুয়েন্সিং এর তথ্য উপাত্ত খুব শীঘ্রই সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলেও ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার বলেন, জিনোম সিকুয়েন্স ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি ও ধরণ সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা দেবে। এর ফলে আমরা জানতে পারবো আমাদের এখানে ভাইরাসটি মোকাবেলায় কোন ধরনের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে।

সমীর সাহা বলেন, হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষক ড. সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে ৮ জনের গবেষক দল করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্সের কাজ করেছে।

এ বিষয়ে আইইডিসিআর এর প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ডা এ এস এম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের ১৬ হাজার ৪৫১টি জিনোম সিকুয়েন্স করা হয়েছে। বাংলাদেশে এবারই প্রথম এ ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করা হলো। এত আমরা জানতে পারবো করোনাভাইরাসের তিনটি ধরণের কোনটি আমাদের দেশে রয়েছে। ভাইরাসটির কোন মিউটেশন হয়েছে কিনা তাও জানা যাবে। ফলে ভ্যাকসিনেশনের সময় আমরা বুঝতে পারবো এবং এটি তখন ভূমিকা রাখবে।’

সিএইচআরএফ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ ভাইরাসের সিকুয়েন্সিং করা কিছুটা দুঃসাধ্য। সেখানে নভেল করোনাভাইরাসের মতো সংক্রমণশীল একটি ভাইরাসকে সিকুয়েন্সিং করা খুবই কঠিন। চাইল্ড হেলথ রিসার্স ফাউন্ডেশন ভাইরাসটিকে নিষ্ক্রিয় করে মেটাজিনোমিক সিকুয়েন্সিং এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ জিনোম সিকুয়েন্সিং এর কাজটি সম্পন্ন করেছে।

ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের নমুনা থেকে আরও কিছু ভাইরাসের সিকুয়েন্সিং করা হবে। এর ফলে ভাইরাসটির উৎপত্তি, গতি-প্রকৃতি বুঝতে ও প্রতিরোধের উপায় খোঁজা সহজ হবে।