গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার চারশ ২৬ জন এবং মারা গেছেন চার লাখ ৭৯ হাজার আটশ ১৬ জন।
ভারতে এখন পর্যন্ত মারণ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৫৬ হাজার একশ ১৫ জন এবং মারা গেছেন ১৪ হাজার চারশ ৮৩ জন।
করোনা সংক্রমণ থামার পরেও কেবল ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক কোটি দুই লাখ মানুষের মধ্যে ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার’ (পিটিএসডি)-এর আশঙ্কা রয়েছে।
‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টস’ (আইএসিপি)-এর ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টাস্ক ফোর্স’-এর সদস্য তথা মানসিক চিকিৎসার উৎকর্ষকেন্দ্র ‘ইনস্টিটিউট অব সাইকায়াট্রি’-র ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট প্রশান্তকুমার রায়ের উদ্যোগে হওয়া একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৪৯ দশমিক তিন শতাংশ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কভিড-১৯ ও লকডাউন কোনো না কোনোভাবে প্রভাব ফেলেছে।
তার মধ্যে ১০ দশমিক তিন শতাংশের ওপর এই প্রভাব গুরুতর। পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যা ২০২০ সালের মে মাসের তথ্য অনুযায়ী ৯ কোটি ৯৬ লাখের মধ্যে আনুমানিক চার কোটি ৯১ লাখ নাগরিকের মানসিক স্থিতি টলিয়ে দিয়েছে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি।
জনমনে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের প্রভাব জানতে সমাজের বিভিন্ন আর্থিক স্তর ও নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত প্রায় এক হাজার জনের ওপর সমীক্ষাটি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সমীক্ষাতেও দেখা গেছে, যাদের পারিবারিক আয় মাসিক ১০ হাজার টাকার নীচে, তুলনামূলকভাবে তারা অনেক বেশি বিধ্বস্ত। আবার ৪৫-৫৫ বছর বয়সীদের মধ্যেও বাড়তি মানসিক চাপ ধরা পড়েছে এই সমীক্ষায়।
কলকাতা, শহরতলি থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকার ১৮-৮০ বছর বয়সীদের সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, চুক্তিভিত্তিক কর্মী, বেসরকারি কর্মী, বেকার, অবসরপ্রাপ্তদের থেকে যেমন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তেমনই ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ী, দিনমজুর, কৃষক, আপৎকালীন পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, কৃষক, স্বাস্থ্যকর্মী, গৃহবধূও রয়েছেন।
সূত্র : আনন্দবাজার