ফরিদপুর শহরে ছুরিকাঘাতে এক তাবলিগ জামাতকর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তর্কের জের ধরে কয়েকজন যুবক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
শনিবার (৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় ফরিদপুর শহরের চকবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান বাচ্চু (৪৮) শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার লঞ্চঘাটা এলাকার রমজান আলী খানের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, তিনি তাবলিগ জামাত করতেন এবং ধর্মীয় কাজেই ব্যস্ত থাকতেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনায় আটক শরীফ (১৮) ও হাবিব (১৮) এলাকায় বখাটে হিসেবে চিহ্নিত।
নিহত বাচ্চুর ভাগ্নে আরাফাত বলেন, “মামা এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলেন। তখন কয়েকজন যুবক মামাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে এগিয়ে এসে দুই যুবককে আটক করে পুলিশে দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মামার মৃত্যু হয়। মামার সঙ্গে আগে এই যুবকদের কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তার প্রতিশোধ নিতেই মামাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে”।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। দুই জন হত্যাকারীকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিন জন জড়িত ছিল।
তিনি আরও জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।