বন্যার পানির চাপে বাঁধে ভাঙন, লোকালয় প্লাবিত


বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

জিও ব্যাগ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। বন্যার পানির চাপে রৌমারী শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার ভেঙে উপজেলার দুই ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করেছে। বুধবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাভরি নদীর পানির চাপে বাঁধটি ভেঙে যায়।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও জানান, অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে বাঁধটি কয়েকদিন থেকেই ঝুঁকিতে ছিল। আমরা জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধটি রক্ষা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের সকল চেষ্টাকে ব্যর্থ করে বুধবার সন্ধ্যায় বাঁধটির প্রায় ৩০ মিটার ভেঙে যায়। এতে করে উপজেলা প্রশাসন চত্বর সহ উপজেলার অন্তত ১৫ টি গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের শাহা ব্যাপারী কুড়া নামক স্থানে ফৌজদারি বেড়িবাঁধ নামে পরিচিত রৌমারী শহররক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার অংশ ভেঙে যায়। এর ফলে উপজেলা শহরসহ বন্দবেড় ও রৌমারী ইউনিয়নের ১৫-২০টি গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

বন্দবেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ পানিবন্দি। এরমধ্যে বেড়িবাঁধ ভেঙে তার ইউনিয়নের অন্তত আরও চারটি গ্রাম ব্যাপক ভাবে প্লাবিত হচ্ছে।

ইউএনও আল ইমরান বলেন,‘ বন্যার পানিতে উপজেলার প্রায় ৭০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারযোগ্য অপর ৩০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোর মানুষদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হচ্ছে। এছাড়াও বন্যা কবলিত মানুষদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।’