বন্যায় কমছে কুরবানীর পশুর দাম


হাটগুলোতে-মানা-হচ্ছে-না-স্বাস্থ্যবিধি
হাটগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

করোনা ভাইরাসের এই সময়ে বন্যা যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে । গ্রামবাসীরা গবাদি পশু নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছেন। উপায়ান্তর না দেখে অনেকে পশু বিক্রি করে দিচ্ছেন পানির মত সস্তায়।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ। বন্যায় তলিয়ে যায় তাঁর গোয়ালঘর। ঘরও পানিতে থইথই। নিজেরই থাকার উপায় নেই, এর ওপর গবাদি পশু নিয়ে পড়েন আরো বেকায়দায়। তাই বাধ্য হয়ে আগেভাগেই কোরবানির হাটে পশু বিক্রি করতে এসেছেন।
গতকাল রবিবার জগন্নাথপুর পৌর শহরের

হেলিপ্যাড এলাকায় কোরবানির পশুর হাটে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি জানান, করোনা আর বন্যা পরিস্থিতিতে কৃষকরা ভালো নেই। তাই কোরবানির ঈদ সামনে রেখে তাঁরা হাটে গবাদি পশু বিক্রি করে দিচ্ছেন।

শুধু আব্দুল আজিজই নন, ওই পশুর হাটের বেশির ভাগ বিক্রেতাই দরিদ্র কৃষক। দু-একজনকে পাওয়া গেছে খামারি। নানা সংকটে পড়ে কোরবানির হাটে ঘরের গরু বিক্রি করে দিচ্ছে অভাবীরা।

একই পরিস্থিতি দেখা গেছে কুড়িগ্রামেও। বন্যায় গরু-ছাগল নিয়ে সংকটে রয়েছে অনেকেই। রাস্তা ও উঁচু স্থানে কোনোমতে গবাদি পশু রেখে বিক্রির চেষ্টা করছেন তাঁরা; কিন্তু চাহিদা ও দাম কম থাকায় গবাদি পশু বিক্রি তেমন একটা হচ্ছে না।

কুড়িগ্রামের খামারিরা জানান, চরের মানুষের প্রধান সম্পদ গবাদি পশু। কোরবানির সময় অনেকেই গরু-ছাগল বিক্রি করে সংসারের চাকা সচল রাখেন। কেউ বা শোধ করেন ঋণ। কিন্তু এবারের ছবিটা একেবারেই ভিন্ন। করোনা ও বন্যার প্রভাবে নেমে গেছে কোরবানি পশুর দাম।

কুড়িগ্রামের হলোখানা গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, বাড়িতে বন্যার পানি ওঠার পর বাঁধের ওপর গরু রেখেছেন। ঘাস খাওয়াতে পারছেন না। কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য গরু পালন করেছেন; কিন্তু বিক্রি করতে পারছেন না। ৫০ হাজার টাকার গরু এবার ৩০ হাজার টাকা হয়ে গেছে।