জেলা সদর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন জনপদ রৌমারী। চলমান বন্যায় এ উপজেলার প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়েছে প্রায় দুই লক্ষ মানুষ। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ত্রাণে খাদ্যকষ্টে ভুগছে হাজারো পরিবার।
এমন পরিস্থিতিতে দুর্গত মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিতে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিয়ে উপহার সামগ্রী নিয়ে হাজির হন কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার। বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার তিন শতাধিক পরিবারকে উপহার সরূপ খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান।
উপজেলার রৌমারী সদর, যাদুরচর, দাঁতভাঙ্গা ও শৌলমারী ইউনিয়নে এসব ত্রাণ বিতরণ করেন পুলিশ সুপার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (রৌমারী সার্কেল) এমএইচ মাহফুজার রহমান, রৌমারী থানার ওসি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম প্রমুখ।
ত্রাণ বিতরণ কালে পুলিশ সুপার উপস্থিত মানুষদের করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় মাস্ক ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও রৌমারী উপজেলায় মাদকের চোরাচালান বেড়ে যাওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তাদেরকে কোনও রকম ছাড় না দেওয়ার সংকল্প ব্যাক্ত করেন।
পরে রৌমারী থানা চত্বরে দুই শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার উপহার দেন পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, যোগদানের পর থেকে পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান নিজ বন্ধুমহল ও পুলিশ সদস্যদের স্বেচ্ছা অনুদানে অসহায় মানুষদের খাদ্যসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করে আসছেন।
বিশেষ করে করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত লকডাউন চলাকালে জেলার অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের প্রকাশ্যে ও রাতের বেলা বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন পুলিশ সুপার ও তার দল। সেই ধারাবাহিকতায় বন্যার্তদের সহায়তা করছে জেলা পুলিশ।
পেপার’স লাইফ/কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি/চন্দন কুমার সরকার