এ পর্যন্ত ব্রিটেনে যত লোক মারা গেছেন তাদের মধ্যে বয়বৃদ্ধ বা যারা বেশী বয়সে মারা গেছেন, তাদের ছাড়া কর্মজীবীদের মধ্যে বেশীর ভাগই মিনি ক্যাব বা টেক্সিচালক। দি অ্যাপ ড্রাইভার্স অ্যান্ড ক্যারিয়ার্স ইউনিয়নের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
এরপরই রয়েছেন ডাক্তার, নার্স বা ফ্রন্ট লাইন ওয়ারকাররা। যারা সব সময় করোনা রোগীদের সংস্পর্শে থেকেছেন তাদেরই মৃত্যু বেশী হয়েছে।
যে সব টেক্সিচালক সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা করেননি তারা নিজেরা আক্রান্ত হয়েছেন, পরিবারকে আক্রান্ত করেছেন, প্যাসেন্জারকে ফেলেছেন মহাবিপদে। অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে করেছেন আলিঙ্গন।
কুইন মেরী ইউনিভার্সিটির সোসালিস্ট প্রফেসর মার্ট উলিয়াম বলেন, ‘টেক্সিচালকদের মুখ দেখলেই বিষন্নতা নেমে আসে, তাদের করোনাভাইরাস জীবাণু মোকাবিলা করার কোনো ইকুইপমেন্ট নাই। নিজেদের প্রটেকশন তো নাইই যাত্রীদেরও কোনো প্রটেকশন দেয় না।’
সরকারিভাবে পরিষ্কার গাইড লাইন বা ঘোষণা দেওয়া আছে। টেক্সিচালককে অবশ্যই পিপিই ব্যাবহার করতে হবে। মুখে মাস্ক পরতে হবে। হাতে গ্লাভস অথবা সেনেটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
যাত্রীকেও মুখে মাস্ক গ্লাভস বাধ্যতামূলক। যদি যাত্রীদের ইকুয়েপমেন্ট না থাকে তবে ট্যাক্সিচালককে প্রোভাইড করে গাড়িতে তুলতে হবে। অনেক চালক নিয়মনীতি না মানার ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।