মাঝ নদীতে অনশন মাঝি ও পরিবেশ সংগঠনের কর্মীদের


মাঝ নদীতে অনশন


মাঝ নদীতে অনশন করেছেন সাম্পান মাঝি ও পরিবেশ সংগঠনের কর্মীরা। তাদের দাবি, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ।

৯ নভেম্বর সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত একটানা প্রায় ৮ ঘণ্টা চলে এ অনশন কর্মসূচি।

কর্ণফুলী নদীর খেয়া পারাপারের ঘাটগুলোতে যাত্রী পারাপার বন্ধ রেখে মাঝ নদীতে অনশনে যোগ দেন সাম্পান মাঝিরা। পাশাপাশি সাম্পান মাঝি ও চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনসহ ৫ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনশনে যোগ দেন।

২০১৯ সালে হাইকোর্ট প্রদত্ত চূড়ান্ত রায় অনুসারে নদী ও তীর দখল করে গড়ে উঠা ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবে না বলে জানান অনশনকারীরা।

আরও পড়ুন: ডিম ছোড়ার পরও শান্ত ছিলেন রাজা চার্লস

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদী তীরে টিকে থাকা আড়াই শতাধিক বনজ ও ওষুধি গাছ সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যথায় আদালতের আদেশ অবমাননার অভিযোগ এনে যথাযথ আদালতে রিট আবেদন করা হবে বলে জানান নেতারা।

অনশনে একাত্বতা ঘোষণা করে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম। সংস্থাটির সিনিয়র সহসভাপতি প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী বলেন, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্ণফুলী দখল-দূষণ করে পঙ্গু করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের উপদেষ্টা অধ্যাপক নোমান আহমদ সিদ্দিকি বলেন, মৃতপ্রায় কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা অচিরেই উচ্ছেদ করতে হবে। কর্ণফুলী বাংলাদেশের প্রাণ প্রবাহ।