করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার প্রথম ও প্রধান উপায় মাস্ক ব্যবহার করা। করোনারকালের এ সময়ে মাস্ক পরার প্রবণতা নিয়ে গত শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদপত্র দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বৈশ্বিক জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ডাইনাটার উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, ঘরের বাইরে সবচেয়ে বেশি মাস্ক পরা হয় ফিলিপাইনে। দেশটির ৯২ শতাংশ বাসিন্দা সব সময় এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে।
বিস্ময়কর হলেও সত্য, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে সুইডেন। দেশটির ৮৬ শতাংশ বাসিন্দা কখনোই মাস্ক ব্যবহার করে না।
২১টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা ফিলিপাইনের পরের অবস্থানে আছে মেক্সিকো। সেখানকার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা বাইরে চলাফেরাকালে সর্বদা এ সুরক্ষাবিধি মানে। স্পেনের ক্ষেত্রে এই হার ৮৪ শতাংশ। স্পেন, ইতালি ও থাইল্যান্ডে বাইরে বের হলেই মাস্ক ব্যবহার করে ৮৪ শতাংশ বাসিন্দা।
জাপান, মালয়েশিয়ায় এই হার ৭৭ শতাংশ; আর ভিয়েতনামে ৭১ শতাংশ। ৬৩ শতাংশ জার্মান বাইরে বের হলেই মুখে মাস্ক লাগায়, তবে সেখানকার ৬ শতাংশ কখনোই এই সুরক্ষা সরঞ্জামের ধার ধারে না। তাইওয়ান ও ফ্রান্সে ঘরের বাইরে মাস্ক পরার হার যথাক্রমে ৫৭ ও ৫৪ শতাংশ। কানাডায় এই হার ৩৫ শতাংশ।
অন্যদিকে বেশির ভাগ জনগণ মাস্ক ব্যবহার করে না বললেই চলে—এমন দেশের তালিকায় শীর্ষে আছে ড্যানিশরা (৮৭ শতাংশ)। সুইডেনে এই হার ৮৬ শতাংশ হলেও বাইরে সর্বদা মাস্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ডেনমার্কের চেয়ে সামান্য কম। এই কারণে ঘরের বাইরে মাস্ক পরার তলানিতে সুইডিশদের নাম উঠেছে। নরওয়েতে কখনোই মাস্ক ব্যবহার করে না প্রায় ৭৯ শতাংশ মানুষ।
নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ায় এই হার যথাক্রমে ৬০ ও ৬৪ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের লোকজন ঘরের বাইরে সর্বদা নাক-মুখ ঢাকে মাত্র ১৯ শতাংশ; তবে ৫১ শতাংশ কখনোই মাস্কের প্রয়োজন বোধ করে না।