বন্ধু রাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে আগ্নেয়াস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তার অভিযোগ আনল মিয়ানমার। সম্প্রতি রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন আং হ্লুইং।
তিনি বলেন, দেশের সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির পিছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী। আর সেই শক্তিশালী সেনাবাহিনীর উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি টেনে নিয়ে এসেছেন চীনের প্রসঙ্গ।
পরবর্তীতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মুখপত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, সেনা প্রধান বলতে চেয়েছেন আরাকান আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির মত সন্ত্রাসবাদী দলগুলিকে একটি শক্তিশালী সেনা বাহিনী মদত দিচ্ছে। পাশাপাশি চীন সীমান্তের অবস্থিত রাইখান রাজ্যের জঙ্গিদের কথাও উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গে।
আরাকান সেনাবাহিনীর পিছনে একটি দেশ রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, চীনের তৈরি অস্ত্রগুলিই ২০১৯ সালে দেশের সামরিক বাহিনীর ওপর প্রয়োগ করেছিল দেশের জঙ্গি সংগঠন।
সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে মিয়ানমারের সেনা প্রধান জানান, তারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করতে সক্ষম। কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের পিছনে কোনও শক্তিশালী সেনাবাহিনীর হাত থাকলে তা খুবই দুষ্কর হয়ে ওঠে।
সন্ত্রাস দমন করতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান দেশটির সেনা প্রধান।