১ সেপ্টেম্বর থেকে অফিস-আদালত সবকিছু আগের মতো চালু হয়েছে। এতে ঢাকায় রাস্তায় মানুষ ও যানজটের চাপ বেড়েছে। দিনের অধিকাংশ সময় বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট লেগে থাকছে। বেড়েছে মানুষের ভোগান্তি।
ফলে পুরোনো চেহারায় ফিরেছে রাজধানী ঢাকা। মানুষের ভিড় ও যানজট বাড়ায় সেই চিরচেনা ঢাকা তার স্বরূপ ফিরে পাচ্ছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। তখন এক ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয় ঢাকা। সড়কের কোথাও মানুষের আনাগোনা দেখা যেতো না।
দুই মাস পর গত ১ জুন থেকে অফিস আদালত সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার পাশাপাশি ভাড়া বাড়িয়ে গণপরিবহন চালু করা হয়। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ আসনে যাত্রী নেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়ে আগের মতো যাত্রী নেওয়ার অনুমতি দেয় সরকার। ফলে মানুষের যাতায়াত বেড়েছে।
ঈদুল আজহার পর ৬ আগস্ট আগের মতো সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করে সরকার। এরপর অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও কর্মীদের বাসা থেকে কাজের পরিবর্তে অফিস করার নির্দেশনা দেয়। আর তখন থেকেই রাজধানী স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
রাজধানীর উত্তরা, বনানী, গুলশান, গুলিস্তান, কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়কে লেগে আছে যানজট। থেমে থেমে চলছে গাড়ি। সিগনালে আগের মতো অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রতিটি গাড়িকে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের ব্যাপক ভিড়। সবজি ও মাছ বাজারে রীতিমতো পা ফেলাই দায়।
রাজধানীর বাইরে থেকেও মানুষ ফিরছে এই নগরে। যাত্রাবাড়ী, মহাখালী ও গাবতলী ঘুরে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাসগুলো আসন ভর্তি করে যাত্রী নিয়ে আসছে রাজধানীতে। অনেকে দীর্ঘ চার-পাঁচ মাস পর ফিরছেন কর্মস্থলে।